বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
“বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনায় গেলে দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে” _ কয়ছর আহমদ চেকপোস্টে থাকা পুলিশকে অপহরণ করে পালাচ্ছিল ডাকাতদল, অতঃপর… যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ  ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, প্রবাসীরা দেশে এসে ভোট দিতে চায়: জগন্নাথপুরে কয়ছর এম আহমদ শান্তিগঞ্জে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন “মাফিয়া হাসিনা মুক্ত বাংলদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রান খুলে ইফতার করতে পারছেন” _ কয়ছর আহমদ শান্তিগঞ্জে দুঃস্থদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ আপনাদের কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই : কয়ছর এম আহমদ শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ ১৫ই মার্চ বাংলাদেশে আসছেন

আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে সারাদেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে

আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে সারাদেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে

জগন্নাথপুর নিউজ ডটকম ডেস্ক :: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে সারাদেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতারা।

সোমবার (০৯এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা এ কথা বলেন।

নেতারা বলেন, সোমবার দুপুরের মধ্যে আটক সব আন্দোলনকারীকে মুক্তি দেওয়া না হলে সারাদেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে যুক্ত হবেন।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান বলেন, আমরা কারও বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। অধিকারের প্রশ্নে এ আন্দোলন। তাই আটককৃতদের আজ দুপুরের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি।

এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে মানববন্ধন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

যে ৫ দফা দাবিতে রাজপথে শিক্ষার্থীরা:
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, কোটা বাতিল নয়, সংস্কার চাই। এজন্য তারা ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন।

সেগুলো হলো: কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সকলের জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ না দেওয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রচলিত বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় মাত্র ২.৬৩ শতাংশ নাগরিকের জন্য রয়েছে ৩৬ শতাংশ কোটা। এর মধ্যে ১.২ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য শতকরা ০৫ ভাগ, ১.৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধীর জন্য ০১ ভাগ এবং ০.১৩ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পোষ্যদের জন্য শতকরা ৩০ ভাগ কোটা।

এছাড়া ১০ ভাগ নারী এবং ১০ ভাগ জেলা কোটাসহ সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটার পরিমাণ ৫৬ ভাগ। বাকি মাত্র ৪৪ শতাংশ পদের জন্য লড়াই করতে হয় লাখ লাখ মেধাবী চাকরি প্রত্যাশীকে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতের এই কোটার পরিমাণ আরও ভয়াবহ বলে অভিযোগ করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, এই দুই শ্রেণির চাকরিতে কোটার পরিমাণ প্রায় ৭০%।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com