মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
কোমর ব্যথার শক্তিশালী কারণগুলোর অন্যতম হল পিএলআইডি বা লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রল্যাপস। পিএলআইডি তিন মাত্রার হতে পারে- স্বল্প, মাঝারি ও তীব্র মাত্রা।
পিএলআইডি’র লক্ষণগুলো : প্রধান লক্ষণ কোমর ব্যথা। ব্যথা কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পায়ে ঝি ঝি ধরতে পারে বা শিরশির অনুভূতি হতে পারে। অনেকে বলে থাকেন পা চাবাচ্ছে। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বাড়ে, রোগী বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে শোয়া থেকে উঠে বসতেই পারেন না। তীব্র পিএলআইডি’র ক্ষেত্রে ব্যথা ছাড়াও স্নায়ুজনিত বিভিন্ন লক্ষণ থাকতে পারে।
কী চিকিৎসা প্রয়োজন : পিএলআইডি মানেই অপারেশন নয়। বেশিরভাগ স্বল্প ও মাঝারি মাত্রার পিএলআইডি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পূর্ণবিশ্রামে রেখে দিনে তিন-চারবার ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করলে তিন-চার সপ্তাহের মধ্যেই পিএলআইডি-জনিত কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তীব্র মাত্রার পিএলআইডিতে কোন কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে, তবে লাল পতাকা উপসর্গ না থাকলে ফিজিওথেরাপি প্রয়োগে তীব্র মাত্রার পিএলআইডি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এসবই নির্ভর করবে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং এমআরআই রিপোর্টের ওপর।
ডা. মোহাম্মদ আলী
পেইন ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
হাসনা হেনা পেইন রিসার্চ সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা।
Leave a Reply