বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের অনুপ্রেরণায় জগন্নাথপুরে  চক্ষু চিকিৎসা পেলেন সহস্রাধিক রোগি বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের অনুপ্রেরনায় জগন্নাথপুরে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প মঙ্গলবার শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে এমপি প্রার্থী সৈয়দ তামিম আহমদের মতবিনিময়  জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমীক ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম সুনামগঞ্জে সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগারের রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন শান্তিগঞ্জে জোরপূর্বক জায়গা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন জগন্নাথপুরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে নিষিদ্ধ  ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়ন  বিএনপির কর্মীসভা; ত্যাগী দের নিয়ে কমিটি গঠনের আহবান দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি ঘোষণা

আজ জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী গণহত্যা দিবস

আজ জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী গণহত্যা দিবস

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৩১শে আগষ্ট শ্রীরামসি গণহত্যা দিবস। ৭১’র এই দিনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামে পাকহানাদার বাহিনী নারকীয় তান্ডব চালিয়ে গ্রামের সহজ সরল শান্তিপ্রিয় মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দিনটি শ্রীরামসি গ্রামবাসী শহীদের স্মরণে আঞ্চলিক শোকদিবস হিসাবে পালন করে আসছেন। যার ধারবাহিকতায় এবারও শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল, পুস্পস্তবক অর্পন ও আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসচুী পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবু হোসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩১শে আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে পাকহানাদার বাহিনী ৭/৮ টি নৌকা যোগে শ্রীরমাসি বাজারে আসে এবং স্থানীয় রাজাকারদের দিয়ে গ্রামবাসীদের কে খবর দেয় শ্রীরামসি হাইস্কুল মাঠে শান্তি কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে। ঐ সভায় সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য। শান্তির আশায় গ্রামবাসীরা সে দিন স্কুল মাঠে সমবেত হয়। যারা আসতে দেরী করেন তাদেরকেও ডেকে আনা হয় এর পর পাকসেনারা ১০/১২ জন করে বিদ্যালয়ের কাছে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে লাইন ধরিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছাত্র, শিক্ষক, সরকারী কর্মচারী, যুবক, সাধারণ গ্রামবাসী ও বেড়াতে আসা স্বজন। নারকীয় এ হত্যাকান্ডের পরপরই পাকসেনার শ্রীরামসি গ্রামে ঢুকে গ্রামের প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ী আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ভীত স্বতস্ত্র মানুষ জন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলে দাফনের অভাবে লাশগুলো কুকুড় শেয়াল টানা ঁেহচড়া করে। ঘটনার ৪/৫দিন পর কয়েক জন লোক গ্রামে ফিরে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করে। সেদিন হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে ১২৬জনকে হত্যা করে। শ্রীরামসি হত্যাকান্ডের বর্বর কাহিনীকে স্মরণ করে ১৯৭৩ইং সনে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে শহীদের নাম সংবলিত স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৮৭ইং সনে শহীদ স্মৃতি সংসদ নামে একটি স্মৃতি সংসদ গঠিত হয়। স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে প্রতি বছর শহীদ স্মরণে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। এবারও অনুরূপ কর্মসূচী পালন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com