বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

যুদ্ধের ময়দানে এগিয়ে ৬ মুসলিম দেশ

যুদ্ধের ময়দানে এগিয়ে ৬ মুসলিম দেশ


বিশ্বের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ গত কয়েক বছরের সামরিক শক্তিতে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, ইরান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে এ ৬টি দেশ অন্যদের থেকে তুলনামূলক এগিয়ে রয়েছে।
তুরস্ক : সামরিক শক্তিতে বিশ্বে তুরস্ক বর্তমানে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। আর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে দেশটি রয়েছে সবার শীর্ষে।
দেশটির সামরিক শক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাঁজোয়া যান, কামান, হালকা ট্যাঙ্ক, ড্রোন, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, জঙ্গিবিমান ইত্যাদি।
পাকিস্তান : মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশ। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতেও দেশটি অগ্রগামী। পাকিস্তানের হাতে যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে।
ইরান : দীর্ঘ তিন দশক ইরানের ওপর পশ্চিমা অবরোধ এবং একই সময়ে ইরাক যুদ্ধ ইরানকে সামরিক ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করে।
দেশটির হাতে অত্যাধুনিক ট্যাংক, ভারি সাঁজোয়া যান, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ড্রোন, হেলিকপ্টার গানশিপ, যুদ্ধজাহাজ, বিভিন্ন মডেলের সাবমেরিন, অসংখ্য গানবোর্ট, গোয়েন্দা উপকরণসহ যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণের প্রযুক্তি রয়েছে।
সৌদি আরব : অস্ত্র আমদানিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয়কারী দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। দেশটিতে এমন কিছু অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র রয়েছে যেগুলো মার্কিন সেনাবাহিনীতেও প্রচলন হয়নি।
মিসর : সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তার দিক থেকে মিসর বেশ এগিয়ে। তবে দেশটির প্রতিরক্ষা খাত পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। মিসরের প্রতিরক্ষা শিল্প ট্যাংকসহ মাঝারি আকারের অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণ করে থাকে।
মালয়েশিয়া : এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশ মালয়েশিয়া। দেশটির সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীও যথেষ্ট শক্তিশালী। তারা হালকা অস্ত্রশস্ত্র ও নৌযান তৈরি করে থাকে।
তবে ভারি অস্ত্রশস্ত্র বিশেষ করে যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধজাহাজ বাইরের দেশ থেকে সংগ্রহ করে থাকে। এককথায় সামরিক বিচারে উভয় দেশকে মাঝারি শক্তি হিসেবে বলা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com