শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের কমিটি গঠন জগন্নাথপুরের সাংবাদিকদের সাথে এমপি প্রার্থী এডভোকেট ইয়াসিন খানের মতবিনিময় ডুংরিয়া ঘরুয়া ইয়াংস্টার ৩য় ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন  জগন্নাথপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্হ দের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরন জগন্নাথপুরে ইউএনও এর সাথে কমিউনিটি নেতা মুজাক্কির আলীর বৈটক সুনামগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন মুফতি আজির উদ্দিন  শান্তিগঞ্জের শত্রুমর্দনে বিএনপির কর্মীসভা আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত  জগন্নাথপুরে সাংবাদিক আব্দুল করিম গণিকে সংবর্ধনা জগন্নাথপুরে চার শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ পেল চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ

সংবিধান, আইন পরিবর্তন মিনিটের ব্যাপার-ড.কামাল

সংবিধান, আইন পরিবর্তন মিনিটের ব্যাপার-ড.কামাল

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংলাপের আমন্ত্রণের চিঠি পাওয়ার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে তিনি বলবেন তারা খোলা মন নিয়ে কথা বলতে এসেছেন, কোনো দলীয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয়।
তিনি বলেন, বলব জাতীয় স্বার্থে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা যেমন চাই, আপনিও চান…।
আমরা উভয়ে সেটাই চাই, তাহলে কেন উপায় বের করা যাবে না।
তিনি বলেন, লক্ষ্য সবার অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। সংবিধান ও আইন পরিবর্তন তো কোনো ব্যাপারই নয়। এক মিনিটেই তা হতে পারে। মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. কামাল এ সব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে রাজনৈতিক সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে ড. কামাল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে নির্বাচন নিয়ে সরকারের মৌলিক অবস্থানের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সংবিধানসম্মত সব বিষয়ে আলোচনার জন্য তার দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত। ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরাও বেশ কিছুদিন ধরে ক্রমাগত বলছেন, এসব দাবির অনেকগুলো মানার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ বর্তমান সংবিধানে এসবের কোনো সুযোগ নেই।
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দাবি ‘সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন’ দিনের পর দিন সরকারের পক্ষ থেকে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সংলাপের চিঠিতে সংবিধানসম্মত শব্দজুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি তাহলে তাদের সেই অবস্থানেই অনড় থাকার বার্তা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই বোঝা যাবে সরকার কতটা করার জন্য প্রস্তুত, কোন কোন ইস্যুতে তাদের দ্বিধা আছে। তবে একই সঙ্গে কিছুটা তো বুঝতে পারছি তারা সংবিধানের বিষয়গুলোকে তুলতে চাইবেন।
কিন্তু এ সংবিধানকে তো তারা (সরকার) সংশোধন করেছেন। সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যাপারগুলো যোগ করেছেন। ড. কামাল বলেন, আমরা তাদের বলব, এটা তো সংবিধান নয়, এটা তো সংশোধনী…।
অবশ্যই নির্বাচন সংবিধানসম্মত হবে। অসাংবিধানিকভাবে তো নির্বাচন করা যায় না। কিন্তু প্রশ্ন হল কিভাবে সংশোধনী থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সংবিধান ও আইন পরিবর্তন তো কোনো ব্যাপারই নয়। এক মিনিটেই তা হতে পারে।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার যে দাবি তারা দিয়েছেন, সেটা একবারেই নতুন কিছু নয়। শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন তিনি সেই একই কথা বলেছেন।
সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের সুনির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে বেশি কথা বলতে রাজি হননি ড. কামাল। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার যেহেতু আলোচনা, সুতরাং বেশি কিছু বলতে চাই না। আমরা আশা করব সরকার আমাদের সাত দফা দাবি মেনে নিক।
কিন্তু সরকার যে নমনীয় হবে তারা সেটা আশা করছেন কীভাবে?
সরকারের ওপর তো চাপ নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হোসেন বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য অবশ্যই সরকার চাপে রয়েছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাটাই চাপ। তারা জানেন যে নির্বাচনে মানুষ অংশগ্রহণ করে না, সেই নির্বাচন থেকে কিছু পাওয়া যায় না। এই উপলব্ধি নিশ্চয়ই তাদের হয়েছে। তা না হলে তো আমাদের আলোচনায় ডাকার কোনো দরকার তো তাদের ছিল না।
সংলাপে তারা নিজেরা কতটা নমনীয় হবেন- এমন প্রশ্নে ড. কামাল বলেন, আগে থেকে কোনো অনুমান করতে চাই না। লক্ষ্য একটাই নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন। আমরা উভয়ে সেটাই চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com