শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরের দৃষ্টিনন্দন আর্চ সেতু’র স্ল্যাব ঢালাই কাজ সম্পন্ন, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন সুনামগঞ্জে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সর্দার কুখ্যাত ডাকাত গ্রেফতার  নির্ধারিত জায়গায় সুবিপ্রবি ক্যাম্পাস দ্রুত স্থাপনের লক্ষে সংবাদ সম্মেলন আব্বাকে মনে পড়ে  সুনামগঞ্জে কর্মী সম্মেলন সফলের লক্ষে জগন্নাথপুর জামায়াতের প্রচার মিছিল জগন্নাথপুরে তারুণ্যের উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ  জগন্নাথপুরের স্বাস্থ্য ও রুচিসম্মত খাবারের নিশ্চয়তায় উদ্বোধন হলো মেজবান রেস্তোরাঁ ইংল্যান্ডের বার্ণলী সিটির সাবেক কাউন্সিলর কমিউনিটি নেতা মুজাক্কির আলীর স্বদেশ আগমন শান্তিগঞ্জে তারুণ্যের উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ 

করোনা নিয়ে আজহারীর ফেসবুক লাইভ

করোনা নিয়ে আজহারীর ফেসবুক লাইভ

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক :: করোনা ভাইরাস নিয়ে গণসচেতনামূলক একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক মিজানুর রহমান আজহারী। এ ব্যাপারে কোরআন-হাদিসের আলোকে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
গতরাতে দীর্ঘ ওই ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে ‘জলে-স্থলে যত দুর্যোগ, বিপর্যয় এবং মহামারী ধেয়ে আসছে- এগুলো আমাদের হাতের কামাই, এগুলো আমাদের উপার্জিত, আমাদের পাপের ফসল।’ তিনি বলেন, আমরা যদি নাফরমানি ছেড়ে দিয়ে এক আল্লাহর এবাদতে মগ্ন হতাম শরীয়ার নিয়ম-কানুন ইসলামকে যদি আমরা সেই অর্থে পালন করতাম তাহলে এই আযাব, এই গজব আমাদের ওপর আসতো না।
দ্বিতীয় যে কারণটি রয়েছে তা সুনানে ইবনে মাজাহ-এর একটি হাদিস বর্ণনা করলে আপনারা বুঝতে পারবেন। সেখানে মহানবী (সা.) বলেছেন, কোন সমাজে যখন অশ্লীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ তা’য়ালা ওই সমাজে মহামারী পাঠান, প্লেগ পাঠান। তিন নং কারণ হচ্ছে আল্লাহ তা’য়ালা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করার জন্য এই সমস্ত মহামরী পাঠান যে, কে ধৈর্যধারণ করতে পারলো, কে ঈমানহারা হলো না, কে ঈমানের পথে অবিচল থাকতে পারলো, এগুলো দেখার জন্য। সহীহ মুসলিমের একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, মাঝে মাঝে আযাব হিসেবেও আল্লাহ তা’য়ালা এই মহামারী পাঠান।

এরপর এ ধরণের দুর্যোগ বা মহামারীর আরও একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে এটি কেয়ামতে একটি আলামতও হতে পারে। আমরা কিছু হাদিসেও এরকম পেয়েছি যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের আগ দিয়ে পৃথিবীব্যাপী এমন ভয়ঙ্কর এক মহামারী ঘটবে।
কেয়ামতের যে ছোট ছোট আলামতগুলো আছে তার একটা হলো এরকম ভয়ঙ্কর মহামারী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।

বর্তমানে মালয়েশিয়া অবস্থানরত এই ইসলামি বক্তা বলেন, সহীহ বুখারীর এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন যে, কেয়ামতের আগে ৬টি জিনিস ঘটবেই ঘটবে। এই ৬টি বিষয় পৃথিবীব্যাপী না ঘটলে কেয়ামত সংঘটিত হবে না। তোমরা হাতে গুনে রাখো- এই ৬টি বিষয়ের অন্যতম একটি হলো মহামারী। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ছাগলের পালের মধ্যে যেমনি মহামারী ছড়িয়ে পড়ে, তেমনি মানবমন্ডলীর মধ্যেও এই ভয়ঙ্কর মহামারী ছড়িয়ে পড়বে।
আজহারী বলেন, একটা ভয়ঙ্কর সময় আমরা পার করছি, বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক। ভীত সন্ত্রস্ত, মানুষের মধ্যে হাহাকার। এই যে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ, এই যে মাঝে মাঝে পৃথিবীতে মহামারিতে প্রাণনাশ ঘটে। এরকম ক্রাইসিস মোমেন্টে আমাদের কি করা উচিত? এ সমস্ত ক্ষেত্রে শারীয়ার কি গাইডলাইন? এই মহামারীতে ইসলাম আমাদের কি দিকনির্দেশনা দেয়? আল্লাহর রাসুল (সা.) পক্ষ থেকে কোন গাইডলাইন আছে কিনা? এক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সা.) এর বিখ্যাত গাইডলাইন আমরা জানি যে, কোন এলাকার লোকজন যদি মহামারী আক্রান্ত হন, তবে আল্লাহর রাসুল (সা.) ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করেছেন। আবার যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে সেখান থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন। এখানে সেফটি সিরিকিউরিটির ব্যাপারে এই কালজয়ী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন রাসুল (সা.)। এখন আমরা এই গাইডলাইন ফলো করতে দেখছি বিশ্বব্যাপী।

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com