শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
এ ছাড়া রোববারের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে আটক শিক্ষার্থীদের দুপুরের মধ্যে ছেড়ে দিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তা না হলে বিকাল ৩টা থেকে সারা দেশে আন্দোলন তীব্রতর করার ঘোষণা দেন তারা।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১৭ মার্চ থেকে আমরা ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। রোববার সপ্তম কর্মসূচি হিসেবে আমরা গণপদযাত্রার আয়োজন করি।
নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে পদযাত্রা করে শাহবাগে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানকালে পুলিশ বিনা উসকানিতে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে, রবার বুলেট-কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এ সময় প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ, চারুকলা ইনস্টিটিউট, পাবলিক লাইব্রেরি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়েও পুলিশ তাদের ওপর রবার বুলেট ছোড়ে।
তিনি জানান, রোববার রাত থেকে চালানো হামলায় ২১৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১৭ জনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এবং ৩৮ জনকে বিভিন্ন আবাসিক হলে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৩টায় টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সড়ক বাতি নিভিয়ে ছাত্রীদের ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। রাতের অন্ধকারে কেন পুলিশ ছাত্রীদের হামলা চালিয়েছে তার বিচার দাবি করেন তিনি।
ভিসির বাসভবনে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে হামলার সঙ্গে কোনো আন্দোলনকারী জড়িত নয়। হামলাকারীরা বহিরাগত। এ ঘটনায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে বিচারের দাবি করছি।
Leave a Reply