শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘটে চরম নৈরাজ্যেকর পরিস্থিতি চলছে। ৩য় দিন রোববার ও জগন্নাথপুরের প্রধান ওই দুই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এই দুটি রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এলাকার হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। ডেলিভারী রোগীদের বহনকারী সিএনজি, লেগুনাকে আটকে দিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সংবাদিক আমিনুল হক শিপন জানান, তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে সিএনজি যোগে সিলেট যেতে চাইলে পরিবহন শ্রমিকদের বাধার কারনে যেতে পারছেন না। এ ধরনের অনেক রোগী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্বজনরা। পরিবহন শ্রমিকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ। এ দিকে রোববার বিকেলে ছাত্রলীগ পৌরশহরে এক হোন্ডা মিছিল বের করে।
শনিবার সকাল থেকে রোবার রাত পর্যন্ত জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের জগন্নাথপুর পৌরশহরের বটেরতল ও পৌর শহরের চিলাউড়া পয়েন্ট এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা পিকেটিং করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল আটকে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এতে করে সড়কে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হন হাজার হাজার জনসাধারণ।
জগন্নাথপুর-সিলেট বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাসের জন্য যাত্রীদের ভীড় বাড়লেও ষ্ট্যান্ড থেকে বাস ছাড়েনি পরিবহণ শ্রমিকরা। ফলে দূর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ভোগান্তির শিকার মোঃ নুরুল হক নামের এক যাত্রী বলেন, জরুরী প্রয়োজনে সিলেট যাওয়ার জন্য বাসের আশায় দীর্ঘ সময় ধরে ষ্ট্যান্ডে বসে আছি। কিন্তুু বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সিলেটে যেতে পারছিনা। ফলে অবর্নীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী সাধারণ।
জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নিজামুল করিম বলেন, যানবাহন ও পরিবহন শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছি আমরা।
জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply