সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
রেবাবার রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
ড. কামাল বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৩০০ আসনের প্রার্থীরা নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পুলিশ ধানের শীষের প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের শাসাচ্ছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা গুলি করছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাচ্ছে। গায়েবি মামলায় প্রার্থীসহ কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।’
ড. কামাল অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আশঙ্কা থেকেই যায় ভোটের দিন কি হবে?’
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। আপনারা সবাই জনগণের হয়ে পাহারা দেবেন।’
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা তো আছেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। তবে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকীতে রোববার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে সাংবাদিকদের বলেন, যে ঐক্যকে সামনে রেখে বিজয় অর্জন করেছিলাম, সেই শক্তিতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই ঐক্যের বিরুদ্ধে যারা লাগে, সেটি যেকোনো দিক থেকে হোক, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।আসুন আমরা ঐক্যকে সুসংহত করি।মনে রাখবেন ঐক্যবদ্ধ জনগণের বিজয় অনিবার্য।
ড. কামাল হোসেন বলেন, লাখ লাখ লোক জীবন দিয়েছেন দেশ স্বাধীন করতে। তাদের আত্মত্যাগকে আমরা যেন ঠিকভাবে মূল্যায়ন করি, সে বিষয়ে বিজয়ের দিনে আমাদের শপথ নেয়া দরকার।
Leave a Reply