বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ সানোয়ার হাসান সুনুঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ১শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর কার্যালয়ে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় দুই উপজেলায় দরিদ্র ও হত দরিদ্রদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে গভীর নলকুপ (টিউবওয়েল) স্থাপন ও শতভাগ স্যানেটিশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার হলদিপুর চিলাউড়া ইউনিয়নের চিলাউড়া বাজারে দ্বিতীয় পর্যায়ে উপকারভোগী তালিকার কাজ সম্পন্ন হয়। তালিকা অনুযায়ী ৩০০ গরিব লোকদের মধ্যে টিউবওয়েল ও স্যানিটেশন দেওয়া হবে। এ উপলক্ষ্যে স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা
আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আকমল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, জগন্নাথপুর প্রেস
ক্লাব সভাপতি শংকর রায়, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর প্রমুখ।
এর আগে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ে তালিকা তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নেই তালিকা তৈরি করা হবে। জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়,
১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জগন্নাথপুর উপজেলা। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের দরিদ্র ও হত দরিদ্র জনগোষ্টির জন্য টিউবওয়েল ও স্যানিটেশনের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। দুইটি উপজেলায় মোট বরাদ্দ হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। এ অর্থায়নে প্রতি ৫ অথবা ১০ জন পরিবারের মধ্যে একটি করে টিউবওয়েল দেয়া হবে। আর স্যানেটিশন দেয়া হবে সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র প্রত্যেক পরিবারকে। স্বচ্ছভাবে এ উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পকিল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের নির্দেশনায় স্থানীয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের লোকজন প্রথমে মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার জনসাধারণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তালিকা তৈরীর
কাজ শুরু করা হয়েছে। এরপর জনস্বাস্থ্যের লোকজন বাডি বাড়ি গিয়ে যাচাই বাচাই করবে। তাদের যাচাই বাছাইর পর এর স্বচ্ছতা আর সঠিক কিনা তা আবার উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা সরেজমিনে পরির্দশন করে চুড়ান্ত সিন্ধান্ত গ্রহণ
করবেন। জগন্নাথপুর উপজেলা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী আব্দর রব সরকার জানান, মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ মেগা প্রকল্প গ্রহণ করাা হয়েছে। প্রকল্পটি
বাস্তবায়িত হলে এলাকার বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব অনেকটা দূর হবে।
Leave a Reply