রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ ১৫ই মার্চ বাংলাদেশে আসছেন সুসাস গণপাঠাগার নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সভাপতি শেখ একেএম জাকারিয়া শান্তিগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সভা ১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না শান্তিগঞ্জের গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সুবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মধ্যনগরে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ জগন্নাথপুরে সেনাবাহিনীর পোশাক-ব্যাজসহ ভুঁয়া মেজর আটক সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ছাতকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম কারাগারে

ফের জামিন নামঞ্জুর ডিআইজি মিজানের

ফের জামিন নামঞ্জুর ডিআইজি মিজানের

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক :: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) জুলফিকার। তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় আদালতে ডিআইজি মিজানের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন।

এরআগে গত ১ জুলাই অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠায় গত বছর জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ডিআইজি মিজানুর রহমানকে। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের সদর দফদতর ও দুদক থেকে পৃথকভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়।

গত বছরের মে মাসে দুদকের পক্ষ থেকে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরুর পর ডিআইজি মিজান ও তার স্ত্রী রত্না রহমান সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। তা যাছাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক টিম। উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করলে তাকে দুদক থেকে সরানোর ব্যবস্থা করেন।

পরে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ২৩ মে ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশসহ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন।

কিন্তু তার বিরুদ্ধে ‘হালকা অনুসন্ধান’ ও মামলা না করার মতো অনুসন্ধান করতে পরিচালক বাছিরের সঙ্গে জানুয়ারি থেকে গোপন আলোচনা শুরু করেন ডিআইজি মিজান। বাছিরও তার ফাঁদে পা দেন। তিনি মিজানকে রক্ষার জন্য ৪০ লাখ টাকা নেন।

এর মধ্যে ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে ২৫ লাখ টাকা ব্যাগে করে দেন ডিআইজি মিজান। এরপরও মামলার সুপারিশ করায় বাছিরকে ধরেন ডিআইজি মিজান। তিনি মামলার জন্য দুদক চেয়ারম্যান চাপ দিচ্ছিলেন বলে ডিআইজি মিজানকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।

চতুর ডিআইজি এসব রেকর্ড করে রাখেন এবং ৯ জুন একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে এসব তথ্য দেন। তার বক্তব্য ও তথ্যের ভিত্তিতে ওই টেলিভিশন দু’জনের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির প্রতিবেদন প্রচার করে।

ওই দিনই বিষয়টি কমিশনের নজরে এলে দুদক সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘুষের ঘটনায় পৃথকভাবে তদন্ত করার সুপারিশ করে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আসামির কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগে পরিচালক বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিশন।

একই সঙ্গে দু’জনের ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্ল্যার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত দু’জনের অডিও ক্লিপের ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য এনটিএমসিতে পাঠায়।

ওই পরীক্ষায় দু’জনের কথোপকথন ও ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত সব বিষয় পরীক্ষা করে প্রমাণ পায়। বিষয়টি দুদককেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘুষের ওই ঘটনা অনুসন্ধান শুরু হলে ডিআইজি মিজান নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টরির গোপন বৈঠক সংক্রান্ত আরেকটি গল্প সামনে নিয়ে আসেন।

তবে তাতে কাজ হয়নি। দুদকের টিম সেই গোপন বৈঠকের ঘটনাও অনুসন্ধান করছে। এরই মধ্যে ওই বৈঠকের বিষয়ে খোদ দুদকেরই দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অনুসন্ধান টিম।

দুদকের মামলায় ডিআইজি মিজানসহ চার আসামির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com