শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
সানোয়ার হাসান সুনু :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতিক পেয়ে জোর প্রচারণা শুরু করেছেন। এলাকার পাড়া মহল্লায় কর্মী সমর্থক নিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র পদে চার প্রার্থী হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসি মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া (নৌকা), বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসি বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমদ (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য প্রয়াত মেয়র আব্দুল মনাফের ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসি আবুল হোসেন সেলিম (জগ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আবিবুল বারি আয়হান (মোবাইল সেট)। এদিকে প্রতিক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের নিকট প্রতিক তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।
বুধবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া পৌরএলাকার জগন্নাথপুর বাজার, ইকড়ছই নয়াবাড়ী ও কেশবপুর বাজার এলাকায় গনসংযোগ করেছেন। গণসংযোগকালে তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করে বলেন, পৌরবাসির সার্বিক উন্নয়নে একটি উন্নত মডেল পৌরসভা গঠনের জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন,বিজয়ের ব্যাপারে আমি দৃড়ভাবে আশাবাদী।
এছাড়াও বিএনপির প্রার্থী রাজু আহমদ বাড়ী জগন্নাথপুর এলাকায় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবিবুল বারি আয়হান দক্ষিণ পাড়া ও সিএ মার্কেট এলাকায় প্রচারণা করেছেন ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবিবুল বারি আয়হান বলেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালে থেকে আজ অবধি নাগরিকরা তাদের কাংক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত। আধুনিক পৌরসভা গঠন করে পৌরবাসির সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি জনগণ মোবাইল সেটে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন।
বিএনপির প্রার্থী রাজু আহমদ বলেন, যারা ভোট ছাড়া অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে। এবং দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে ভূয়া মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাবন্ধি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়ে ধানের শীষ প্রতিককে বিজয়ী করবে। তবে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা এ নিয়ে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
অপর দিকে স্বতন্ত্রী প্রার্থী আবুল হোসেন সেলিম পৌরএলাকার হবিবপুর, কিশোরপুর এলাকায় গণসংযোগ করে ত^াঁর বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য ১১ জানুয়ারি মেয়র হাজী আব্দুল মনাফের মৃত্যুর পর এ পৌরসভায় উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তপসীল ঘোষণা করেন। প্রার্থীরা ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মুজিবুর রহমানের কাছে মনোনয়ন পত্র জমাদেন। ৯ ফেব্রুয়ারি মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ পৌরসভায় ২৯ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করে সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করে দেখা গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ থাকলেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এ নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি।
Leave a Reply