শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চন্ডির ডহর জলমহাল নিয়ে শনিবার বিকেলে ৫ গ্রামবাসীর মধ্যে মাইকিং করে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখালি ১ম খন্ড চন্ডির ডহর নামক জলমহালটি ইজারা নেন স্থানীয় তেলিকোনা গ্রামের নাজিম উদ্দিন। তবে এ জলমহালটি জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন কান্দারগাঁও গ্রামের আবদুর নুরের লোকজন। ইতিপূর্বে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে আবারো ৫ গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ষের ঘটনা ঘটে। ইজারাদারদের পক্ষে তেলিকোনা ও আবদুন নুরের পক্ষে কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁও, উসনপুর ও গাংপাড় গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নদী পাড়ে প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় নদীর দুই পারে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি ছোঁড়া ছোড়ি করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে আহতরা হলেন,
মাহতাব আলী, ফারুক মিয়া, রাজন মিয়া, নবী হোসেন, আবু মুসা, আবদুল মছব্বির, আলম মিয়া, ফরুক হোসেন, নাজিম উদ্দিন, মির্জা হোসেন, রুবেল মিয়া, আতাউর রহমান, শরিফ উদ্দিন, ফজরুল ইসলাম, রুনু মিয়া, কামরুল ইসলাম। অন্য আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নদীর ইজারাদার আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে নৌকা, জাল, মাছ ও নগদ টাকা সহ প্রায় কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়েছে। এসব ঘটনা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। তবে চেষ্টা করেও আবদুন নুর বা তাঁর পক্ষের কারো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জগন্নাথপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply