স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের গুলাগুলির ঘটানার মামলার বাদী সাহেল আহমদ সহ তাঁর পক্ষের লোকদের হয়রানির লক্ষ্যে আসামী পক্ষ ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে জগন্নাথপুর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ পত্র দায়ের করেছে।
গুলাগুলির ঘটনার মামলাকে আড়াল করতে এবং ঐ মামলার বাদী পক্ষ কে হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। গুলাগুলির ঘটনার মামালার আসামী মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত ইয়াজ উল্লার ছেলে নজরুল ইসলাম সম্প্রতি গুলাগুলির ঘটনার মামলার বাদী সাহেল আহমদ সহ ৬০ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন সাহেল আহমদ ও তাঁর পক্ষের লোকজন তাঁর আড়াই লক্ষাধিক টাকার মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ৬০ টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করলে তাহারা এটা সাজানো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে নজরুল ইসলামের অভিযোগ পত্রে মানীত স্বাক্ষী একই গ্রামের মৃত ফরমুজ উল্লার ছেলে আছবর আলী এ প্রতিবেদকে জানান, ৬০ টি গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। এটা সাজানো ষড়যন্ত্রমুলক ঘটনা। তিনি আরও বলেন আমাকে না জানিয়ে স্বাক্ষী করা হয়েছে, আমি এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
গুলাগুলির ঘটনার মামলার বাদী সাহেল আহমদ বলেন, আমার দায়েরকৃত গুলাগুলির মামলাকে আড়াল করতে ও আমাকে এবং আমাদের লোকজনকে হয়রানি করার জন্য ৬০ টি গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগপত্র থানায় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন আমরা কোন গাছ কাটিনী। সফিক মিয়ার ভাই নজরুল ইসলাম ও তাদের লোকজন ২ টি গাছ কেটে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী’র সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, অভিযোগপত্র পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উল্লেখ্য গত ২৭ এপ্রিল মোহাম্মদপুর গ্রামে এক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। এসময় গুলাগুলির ঘটনা ঘটে, অভিযোগ রয়েছে সফিক মিয়ার পক্ষের লোকজন বন্দুকের গুলি ছুড়লে সাহেল আহমদের পক্ষের রায়হান মিয়া, বাবর মিয়া ও রানা মিয়া তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
Leave a Reply