জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। হাটবাজার ও রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌরসভার আব্দুল খালিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি বন্দি ১শ পরিবার ও ছিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের গোপড়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০ পরিবার সহ উপজেলার ২০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে পাচ শতাধিক বন্যাদূর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। খাবারের জন্য অনেকের মধ্যে হাহাকার চলছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়,জগন্নাথপুর -সিলেট সড়কের অনেক স্হানই পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার অনেক রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌরসভার অধিকাংশ জরাজীর্ণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। কুমারখালী রোডের উত্তর অংশে কোমর পানি। অনেক সড়কে হাটু পানি-কোমর পানি। জগন্নাথপুর বাজারের গলি পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের ভবন প্রাঙ্গণে বিস্তীর্ণ হয়েছে বন্যার পানি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিচ তলায় সিঁড়ির সামনে পানি উঠেছে।
উরু সমান পানি রয়েছে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি) কার্য়ালয় এলাকায়। অফিসে কাজে আসা লোকজনকে উরু সমান পানি মারিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের জামে মসজিদ এবং উপজেলা সদর জামে মসজিদ,আলমদিনাজামে মসজিদ,উত্তর জগন্নাথপুর জামে মসজিদের সামন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের কমপ্লেক্সে এলাকার বাসাবাড়ি এলাকায় পানি উঠেছে। এসব এলাকায় চলাচলের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে পানি বন্দি লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে নতুন করে উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর পৌরশহরের জগন্নাথপুর সবজি বাজার, মাছ বাজার এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া পৌরশহরের সিএ মার্কেট এলাকা,জগন্নাথপুর সদর গ্রাম, ইকড়ছই, হাসিমাবাদ, ভবানিপুর, যাত্রাপাশা, শেরপুর, জগন্নাথপুর এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি বেড়েছে। বহু পাড়া মহল্লার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জগন্নাথপুর পৌরসভা, কলকলিয়া, চিলাউড়া হলদিপুর, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন সহ উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুমের সাথে আলাপ হলে তিনি যুগান্তর কে বলেন, জগন্নাথপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।হাটবাজার ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যাদুর্গত মানুষ দের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছি। প্রচুর ত্রানসামগ্রী প্রয়োজন। দ্রুত প্রেরনের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
Leave a Reply