সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ঐতিহ্যবাহী রসুলগঞ্জ বাজারে শুক্রবার কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঢল নামে। শেষ দিন হওয়ায় জমজমাট হয়ে উঠে ক্রয়-বিক্রয়। তবে ক্রেতা বিক্রেতা অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ছিল।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় বাড়তে থাকে হাটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পশুর হাটের নির্ধারিত স্থান পেড়িয়ে প্রায় পুরোবাজার জুড়ে পশুর হাট বসে। হাটজুড়ে ছিল দেশি গরুর প্রধান্য। তবে আজ হাটে তুলনামূলক পশুর দাম কম ছিল।
গবাদি পশুর পাশাপাশি ভেড়া- ছাগল, নিয়ে বিক্রেতারা হাটে এসেছেন। ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিত তে বাজার সরগরম হয়ে ওঠে। বেচাকেনা ভালই হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ক্রেতা বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় দুইটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। একটি হলো পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজার এবং অপরটি হলো রানীগঞ্জ বাজার। শুক্রবার কোরবানির পশুর হাট রসুলগঞ্জ বাজারে শেষ হাট ছিল।
হাটে আসা সুলেমান মিয়া জানালেন, আজ কোরবানির শেষ হাট ছিল। যে কারণে পুরোবাজার জুড়ে পশুর হাট বসেছে। সকাল থেকেই কেনাবেচা শুরু হয়েছে। অন্যসব হাটের তুলনায় আজ হাটে পশুর দাম তুলনামূলক কম ছিল।
গরু বিক্রেতা বারিক মিয়া জানান, ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতাদের প্রচন্ড সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাজার।
হাটের ইজারাদার আবু জালানী বলেন, চাহিদা অনুয়ায়ী ন্যায্যমূল্যে মানুষ কোরবানির হাটে পশু কিনছেন। ৪৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গরু আজকে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
Leave a Reply