স্মৃতিগুলোকে গুণ্ঠনমুক্ত করতে, প্রাণবন্ত সেই সোনালি দিনগুলোকে ফিরে পাওয়া, ফিরে দেখার প্রত্যাশায় ঐতিহ্যবাহী ডুংরিয়া হাইস্কুলের এসএসসি ২০১৪ সালের ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এক মিলনমেলার আয়োজন করে।
শনিবার (২৯ মে) সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী ডুংরিয়া হাইস্কুলের দৃষ্টিনন্দন অডিটোরিয়ামে বৈচিত্র্যময় এক উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছিল ১৪ ব্যাচের বন্ধুরা। সবার সঙ্গে দেখা করার জন্য। ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে এটি একটি অনেক বড় ইতিবাচক দিক বলে সবাই মনে করছেন।
তারা উৎসবের নাম দিয়েছিলেন ‘মিলনমেলা’। সেই মিলনমেলা ঘিরে বন্ধুকে কাছে পাওয়ার অভূতপূর্ব মুহূর্তগুলোর উচ্ছলতা চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। সকাল ১০টার আগেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে ডুংরিয়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণ ব্যাচের পদভারে মুখর হয়ে ওঠে। স্মৃতি হাতড়াতে তারা ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। ‘বন্ধু, কেমন আছিস, কী খবর বল?’ কুশল বিনিময় আর হৃদয়ের উষ্ণতায় প্রাণের টানে স্কুলের সেই দিনগুলোয় ফিরে আসা। স্থানে স্থানে গল্প-আড্ডা, ছোট দলেও এখানে-সেখানে বসে গেছেন।
কেক কাটার মধ্যদিয়ে উদ্বোধন হয় মিলনমেলার। এরপর ধাপে ধাপে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সবার ছবিসহ পরিচিতি, স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ। দুপুরের খাবারের পর মিস্টি বক্সের মাধ্যমে নির্ধারিত পারফর্ম, ব্যাচের বন্ধুদের গান, ধামাইল শেষমেশ সবার সক্রিয় অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ব্যাচের বন্ধুদের হাস্যরসে ভরা উপস্থাপনা মাতিয়ে রাখে পুরো অডিটোরিয়াম। শেষে আবার দেখার প্রতিশ্রুতিতে ভাঙে মিলনমেলা।
মিলমেলায় আসা ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, ভালোবাসার টানে সবাই একত্র হয়েছি। ঐতিহাসিক এ সম্মিলনে বারবার মনে উদয় হলো আমরা ক্লাসে আছি। মন চায় আবার সেই দশম শ্রেণিতে ফিরে যেতে। শিক্ষকদের শাসন, পড়া না পারলে বেতের বাড়ি, দুষ্টুমি, স্কুল পালানো, টিফিনের পর পালানো, সহপাঠীর সঙ্গে খুনসুটি ইত্যাদি খুব মিস করি। আমরা বিশ্বাস করি এই বন্ধুত্ব জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বজায় থাকবে।
Leave a Reply