সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
করোনাভাইরাসের টিকা যাতে কোনোভাবেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বেসরকারিভাবে টিকা দিতে মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেই এ ধরনের একটি এসএমএস পেয়েছি। কোন কোন ধরনের টিকা পাওয়া যায় সেটাও জানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। বলেছি আমরা যেন কোনোভাবেই বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিই।
তিনি বলেন, তাহলে দেখা যাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকা নিয়ে আসবে। পানি ভরে টিকা দেওয়া হবে। আর সব দোষ পড়বে সরকারের ওপর। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যন্ত টিকা বিক্রিতে নেমে পড়বে। এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই টিকা কমিটির মেম্বার। আমরা তাকে বলেছি ওই কমিটিতে যেন আমাদের এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয়।
ফারুক খান বলেন, যদিও এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। তারপরও আমরা তাদের বলেছি, টিকার মেয়াদ কতদিন আছে সেটা আনার আগে দেখে নিতে। সে টিকা আমরা যেভাবেই পাই না কেন, উপহার হিসেবে হোক বা কিনে আনা হোক। কারণ দেখা গেল, বাংলাদেশে এসে যখন পৌঁছাল তার মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ দিন রয়েছে। ওই টিকা পরে মাঠ পর্যায়ে যেতে যেতে আর মেয়াদই থাকবে না। রোল আউট করতে করতে ডেট চলে যাবে। এ বিষয়ে আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়েছি।
বিদেশে পড়তে যাওয়া দশ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোরও পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নূরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান এবং হাবিবে মিল্লাত অংশ নেন।
Leave a Reply