সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৭ কলিম উদ্দিন মিলনের সুস্হতা কামনায় জগন্নাথপুরে বিএনপির দোয়া মাহফিল  শহীদ হাফিজুর রহমান হাফিজের স্বরণে জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন নির্বাচন ঘিরে ইসির বৈঠক, ভোটের সামগ্রী কেনাকাটার প্রস্তুতি শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ব্যারিষ্টার আনোয়ারের নগদ অর্থ ও কাপড় বিতরণ শান্তিগঞ্জে ভূমিখেকো আতাউর রহমানকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন শান্তিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষক নিহত জগন্নাথপুরে বোরো ধান কর্তন উৎসব

লঞ্চে কত যাত্রী ছিল?

লঞ্চে কত যাত্রী ছিল?

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক :: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরো শতাধিক।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে ঝালকাঠিতে ভিড় করছেন তাদের স্বজনরা। না পেয়ে অনেকেই হাসপাতাল ও সুগন্ধা নদীর দুই পাড়ে খোঁজ নিচ্ছেন। ক্রমেই বাড়ছে স্বজনদের ভিড়। চলছে আহাজারি। ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা নিয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি লঞ্চে এক হাজার থেকে ১২শ’ যাত্রী ছিল।
লঞ্চের স্টাফ সংখ্যা ছিল ৪৬ জন। নাম প্রকাশ করা না শর্তে লঞ্চের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকারি ছুটির দিন হওয়ার কারণে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। শীতকাল হওয়ার কারণে সবাই ঘুমিয়ে ছিল। কেবিনগুলো ছিলো পরিপূর্ণ। যাত্রীদের চাপের কারণেই স্টাপ কেবিনগুলোও ভাড়া হয়েছিল।

সেলিম নামের এক যাত্রী বলেন, এই রুটে নিয়মিতভাবে প্রতিটি লঞ্চে হাজারের বেশি যাত্রী থাকে। বৃহস্পতিবারও লঞ্চটি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। আগুন লাগার পর মানুষ ঠেলাঠেলি করছে। নামার মতো জায়গা ছিলো না। ফলে অধিকাংশ যাত্রী নামতে পারেনি। আমার মতো যারা পানিতে লাফিয়ে পড়ছেন তাদের অনেকেই উদ্ধার হয়নি।
বেঁচে ফেরা লঞ্চের আরেক যাত্রী মিজান মল্লিক বলেন, লঞ্চের ডেকেই ৭/৮ শ যাত্রী ছিল। আমি ২য় তলায় জায়গা না পেয়ে নিচ তলায় বিছানা করে ছিলাম। ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের দিশেহারা হয়ে যায়। আমি পানিতে লাফিয়ে পড়ি। কয়েক মিনিট পানিতে ভেসে ছিলাম। ২ তলা থেকে কয়েক শতাধিক মানুষ পানিতে লাফিয়ে পড়েছে। আমি কাউকে বাঁচতে পারিনি। উপরে উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

এদিকে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিস বলছে, লঞ্চটিতে কত সংখ্যক যাত্রী ছিল তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বেঁচে যাওয়া যাত্রী, ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ধারণা, ইঞ্জিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ বলছেন, ইঞ্জিনে কোনো ত্রুটি ছিল না। যাত্রী সংখ্যারও কোন তথ্য নেই তার কাছে।
তবে ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র বলছে, লঞ্চের কেবিনগুলোতে তেমন একটা মরদেহ পাওয়া যায়নি। কেবিনে থাকা যাত্রীরা পুড়ে টাইলস এর সাথে মিশে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com