সানোয়ার হাসান সুনু ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ডাক বাংলো সেতু দেবে গেছে।
শুক্রবার রাতে সেতুটি দেবে পড়ে ।মঙ্গলবার সেতুটি একেবারে দেবে গেছে। নলজুর নদীর পানির স্রোত যত বাড়ছে সেতুটি নীচের দিকে দেবে পড়ছে। সেতুটি ঝুকিঁ পূর্ণ হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেতুর উভয় দিকে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনসাধারন দূর্ভোগে পড়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নলজুর নদীর ওপর নির্মিত জরার্জীণ ডাক বাংলো সেতুর মধ্যভাগের তিনটি পিলার নিচের দিকে দেবে গেছে। সেতুর অধিকাংশ স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর দুই পাশের বেশ কয়েকটি রেলিং ভেঙে গেছে।
সেতুর পূর্ব পাড়ের শহীদ মিনার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সুফি মিয়া বলেন, সেতুটিতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেক জায়গা ঘুরে জগন্নাথপুর বাজারে যেতে হয়।
সেতুর পাশের দোকানদার জাহিদ আহমদ জানান, এ সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে ছিল।ঝুঁকি নিয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের সবধরনের যান চলাচল করে আসছিলো। সম্প্রতি নলজুর নদীর খননকালে সেতুর নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করায় সেতুটি দেবে গেছে।
আরেক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ সেতু দিয়ে সদরের নদীর পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের শত শত মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন। সেতুটি দেবে যাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর প্রবেশ মুখে বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রকৌশলী জানান, ১৯৮৭ সালের দিকে জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর অর্থায়নে নলজুর নদীতে শহীদ মিনারের পাশে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সেতুটি ডাক বাংলো সেতু নামে পরিচিত।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় আমরা যানবাহনচলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।
Leave a Reply