রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের ঈশান কোনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সৈয়দ জামাল মিয়া হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক সৈয়দ হুসবান নূরকে পুলিশ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে। ধৃত হুসবান একই গ্রামের মৃত সৈয়দ এলাইছ মিয়ার পুত্র।
তার দেওয়া তথ্যমতে সৈয়দ পুর গ্রামের পাশ্ববর্তী এনায়েতনগর এলাকার একটি কবর স্হান থেকে এক নলা একটি বন্দুক ও ৪রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
জানা যায়, গোপন সংবাদের শনিবার জামাল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর জিন্নাত আলী সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ফেনী সদর থানা ও ধর্মপাশা থানা পুলিশের সহযোগীতায় ভিত্তিতে ফেনী সদর থানা এলাকা থেকে জামালের মূল ঘাতক সৈয়দ হুসবাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এএসপি জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশিস ধর জামাল হত্যার মূল ঘাতক হুসবানকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকান্ডের পর থেকেই অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের ধরতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসছি। অবশেষে মূল ঘাতক কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি জানান,ধৃত মূল ঘাতক হুসবানের দেওয়া তথ্যমতে তার ব্যবহৃত লোকানো একটি অবৈধ একনলা বন্দুক ৪ রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে ।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানূর রহমান জানান, ধৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামে ২৮ এপ্রিল রাত প্রায় ৯টার দিকে দু‘পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামের সৈয়দ আনহার মিয়ার ছেলে সৈয়দ জামাল মিয়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দের গুলিতে গুরুত্বর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় জামাল মিয়ার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, আনহার মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়ার সাথে সৈয়দপুর বাজারে একই এলাকার সৈয়দ হুসবান নূরের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সন্ধ্যার দিকে হোসাইন মিয়াকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে। পরে স্হানীয় পোষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে
হোসাইন মিয়ার লোকজন ও সৈয়দ হুসবান নূরের নেতৃত্বে তার লোক জন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষ বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করলে হোসাইন মিয়ার বড়ভাই জামাল মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সহ কম পক্ষে ১৫ জন আহত হন।
গুরুতর আহতদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতের চাচা গুলিবিদ্ধ সৈয়দ আমিন মিয়া বলেন, আমি মধ্যস্হতা করে আমার লোকদের বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইছিলাম, এসময় আমাদের লক্ষ্য করে হুসবান নূর এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আমার ভাতিজা জামালকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। আমি ও আমার ভাই সহ আমাদের সবার উপর গুলি করে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ হোসাইন মিয়া বাদী হয়ে ধৃত হুসবান সহ ৫ জন কে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply