রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথপুরের সভাপতি হলিয়ারপাড়া জামেয়া কাদেরিয়া সুন্নীয়া ফাজিল মাদরাসার স্বনামধন্য অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম পারভেজকে মাদরাসা এলাকার দুটি পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের বিরোধ সমঝোতা না হওয়ায় উক্ত বিষয়কে অধ্যক্ষের উপর চাপিয়ে দিয়ে মামলা দায়ের করার ফলে তিনি হয়েছেন কারাবাসী।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩খ্রি. মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জগন্নাথপুরের এক সভায় সমিতির সভাপতি ড. মঈনুল ইসলাম পারভেজের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাঁকে কারাবাসী করায় সমিতির নেতৃবৃন্দ দুঃখ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর সমিতির এক সভায় নেতৃবৃন্দ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা এবং মামলায় বর্ণিত প্রবাসীদের ফান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন; বিষয়টি সত্য নয়; কারণ উক্ত ফান্ড তাঁদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। মাদরাসায় বছরে একবার চেকের মাধ্যমে অনুদান প্রদান করা হলে মাদরাসা তা খরছ করে। উক্ত ফান্ড আমি বা মাদরাসা কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়না। এ কথা বলে তিনি উক্ত ফান্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকার রশিদ বহি, ব্যাংক স্টেইটমেন্ট কপি ও মাদরাসার নামের একাউন্টে জমাকৃত টাকার স্লিপ ও মাদরাসার নামের সঞ্চয়ী হিসাবের ব্যাংক স্টেইটমেন্ট এবং মাদরাসার নামের এফ.ডি.আর দেখালে তা সমিতি নেতৃবৃন্দের কয়েকজন পর্যবেক্ষণ করেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন; মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ বিগত ২০০০খ্রি. থেকে মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সাথে জড়িত এবং একজন দায়িত্বশীল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি। অর্থ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে সব সময় তিনি সতর্ক থাকেন। তাছাড়া তিনি দীর্ঘ ২৩বছর থেকে সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত রয়েছেন; কিন্তু অর্থ সংক্রান্ত কোন ত্রুটি তার বিরুদ্ধে আমরা কোনদিন শুনিনি। তিনি একজন স্বচ্ছ দায়িত্বশীল। তাই আমরা নির্ধিদায় বলতে পারি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে বাস্তব সত্য ঘটনা ও মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এদিকে সমিতির কয়েকজন নেতৃবৃন্দ গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩খ্রি. সকাল ১১ঘটিকায় হলিয়ারপাড়া ফাজিল মাদরাসার গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্য ও শিক্ষক স্টাপের সাথে ভিন্ন ভিন্ন বৈঠক করে মামলায় বর্ণিত প্রবাসী কল্যাণ ফান্ড এবং অধ্যক্ষ সম্পর্কে বাস্তব অবস্থা জানতে চান, তখন গভর্ণিং বডির সভাপতি জনাব মোঃ ফয়যুর রহমান বলেন; আমরা আজ ব্যথিত ও মর্মাহত। মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ বলেন, মূলত এলাকার দুটি পক্ষের দন্ধের স্বীকার হয়ে তিনি আজ কারাগারে়। আমি প্রায় ২ বছর থেকে মাদরাসার গভর্ণিং বডির সভাপতির দায়িত্বে আছি, মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা পারভেজ সাহেব অর্থ তসররুফ সংক্রান্ত কোন ধরণের ত্রুটি আমার কাছে পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি বলেন, জনাব অধ্যক্ষ একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। পুলিশ কর্মকর্তা এবং অনেক সাংবাদিক আমার কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ মুলক ত্রুটি আছে কি না জানতে চেয়েছেন, আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি এমন কোন কিছুর বাস্তবতা নেই। মূলত দু পক্ষের লড়াইয়ের স্বীকার হয়েছেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল । মাদরাসার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ঠিক এমনিভাবে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের প্রিন্সিপাল সাব একটি পক্ষের সাথে থাকার কারণে আজ তিনি কারাবাসী। শিক্ষকদের প্রশ্ন! আজ তাঁদের ভূমিকা কোথায়? কয়েকজন শিক্ষক কেঁদে কেঁদে বলেন; আমাদের প্রিন্সিপালের সুনাম ও খ্যাতি জগন্নাথপুর তথা সুনামগঞ্জের নয় বরং তিনি গোটা বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ও সুপরিচিত ব্যক্তি। এলাকার দুটি পক্ষের দন্ধ বলি হয়ে আজ তিনি কারাগারে যেতে হলো। সমিতির সকল সিদ্ধাতে আমরা একমত পোষণ করছি এবং যে কোন কর্মসূচীতে আমরা এগিয়ে আসবো, ইনশাল্লাহ।
তারা আরও বলেন, আমাদের খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখা যায়, কতিপয় কলমবাজ সাংবাদিকরা বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর কথা বলে। আমরা আল্লাহর কাছে এর বিচার চাই।
বিবৃতি দাতারা হলেন- জনাব মাওলানা মখছুছুল করীম চৌধুরী (সহ-সভাপতি), জনাব মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ (সহ-সভাপতি), মাওলানা জমির আহমদ (সহ-সভাপতি), অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাকিম (অধ্যক্ষ, হবিবপুর কেশবপুর), অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইউসুফ মানিক (অধ্যক্ষ,রসুলগঞ্জ) , ড. সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ (সাধারণ সম্পাদক), অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, (যুগ্ম সম্পাদক) মাওলানা সালেহ আহমদ (সাংগঠনিক সম্পাদক), মাওলানা আমির আলী (অর্থ-সম্পাদক), মাওলানা ওলিউর রহমান (সহ সাংগনিক সম্পাদক), মাওলানা নিজাম আহমদ (সাহিত্য সম্পাদক), মাওলানা নিজাম উদ্দিন (সুপার, পীরেরগাও), মাওলানা তাজুল ইসলাম (সুপার, রসুলপুর চিলাউড়া), মাওলানা লুৎফুর রহমান (সুপার, শাহজালাল জামেয়া) মাওলানা নূরুল হক (ভাইস প্রিন্সিপাল, হলিয়ারপাড়া), মাওলানা মাহমুদুল হাসান (সহ সুপার, জয়দা), মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী (সুপার, হযরত আবু বকর), এডিএম ফখর উদ্দিন (সৈয়দপুর), রফিকুল ইসলাম মল্লিক (হলিয়ারপাড়া), মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন (সুপার, বাউধরন), মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত,পাঠকুড়া দাখিল মাদরাসা), মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন (শিক্ষক, হবিবপুর কেশবপুর মাদরাসা), মাওলানা সানাওর আলী (শিক্ষক, হবিবপুর কেশবপুর মাদরাসা), মাওলানা আম্বর আলী (শিক্ষক, চিলাউড়া মাদরাসা), মোঃ ইলিয়াস মিয়া (শিক্ষক, রসুলগঞ্জ মাদরাসা) মাওলানা কাওসার আহমদ (শিক্ষক, রসুলপুর বনগাও মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল মান্নান (শিক্ষক, চরা মাদরাসা), মোঃ রফিকুল ইসলাম (শিক্ষক, পীরেরগাও মাদরাসা), মোঃ শফিউল ইসলাম (শিক্ষক, পূর্ববুধরাইল মাদরাসা), মোঃ আনোয়ারুল হক (শিক্ষক, বালিকান্দি মাদরাসা), মাওলানা আব্দুল মান্নান (শিক্ষক, রসুলপুর চিলাউড়া মাদরাসা), মোঃ রফিকুল ইসলাম (শিক্ষক, শাহজালাল জামেয়া দ্বীনিয়া), মোঃ শহীদুল ইসলাম (শিক্ষক, বাউধরন মাদরাসা)মাওলানা মোঃ আফজল হোসেন (সুপার, উত্তর কালনীরচর মাদরাসা), মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন (সুপার, বাউধরন মাদরাসা), মোঃ শহীদুল ইসলাম (শিক্ষক, বাউধরন), মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত,পাঠকুড়া), মাওলানা মোঃ আবু তাহের (সুপার, শ্রীরামসী, ইবি মাদরাসা), মাওলানা মোঃ আশরাফ আলী (সুপার, আল ইহসান, ইবি মাদরাসা), মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসাইন, (সুপার, লতিফ নগর, ইবি মাদরাসা), মাওলানা মোঃ শাহ আলম (সুপার, হযরত বিলাল রা. ইবি মাদরাসা) প্রমূখ। প্রেস বিঞ্জপ্তি
Leave a Reply