রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের হাশিমাবাদ এলাকার নলজুর নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১’শ ৬০ ফুট লম্বা সেতুটি নির্মিত হয়।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় ফিতা কেটে সেতুটির উদ্বোধন করেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুুুু মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল হক, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ, জগন্নাথপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিনা খানম, সাংবাদিক শাহজাহান মিয়া, আমিনুল হক সিপন, যুবলীগ নেতা রাজিব চৌধুরী বাবু, স্থানীয় বাসিন্দা ফটিক মিয়া, সাহার আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাশিমাবাদে নলজুর নদীর ওপর পশ্চিমপাড় অংশে সেতু নির্মিত না হওয়ায় জগন্নাথপুর ৬ নং ওয়ার্ডের একটি অংশকে বিভক্ত করে রাখে। নদী পারাপারে নৌকা ছিল এলাকার দেড়’শ পরিবার ও শতাধিক ক্ষুধে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
এলাকাবাসী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
হাশিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা ফটিক মিয়া বলেন, জগন্নাথপুর (হাশিমাবাদ) এলাকায় সেতু না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমরা নলজুর নদীর দক্ষিণপাড়বাসি ভোগান্তিতে ছিলাম। বিভিন্ন সময় যাতায়াত করতে গিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটতো। তাই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতে অভিবাবকেরা শংকিত থাকতেন। বর্তমানে ওই স্থানে একটি বাঁশের সেতু নির্মিত হওয়ায় স্থানীয়রা আনন্দিত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জগন্নাথপুর পৌরসভাধীন ৬ নং ওয়ার্ডের হাশিমাবাদ এলাকায় শ্মশানঘাট সংলগ্ন স্থানে ১’শ ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু তৈরি করা হয়েছে। বাঁশের তৈরি এ সেতু দিয়ে দীর্ঘদিনের ভুক্তভোগী জনসাধারণ ও ক্ষুধে শিক্ষার্থীরা সহজে যাতায়াত করতে পারছে। নলজুর নদীর ওপর বাশের সেতু নির্মিত হওয়ায়এলাকাবাসী খুশি।
৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, অনেকদিন ধরে নলজুর নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বললে তিনির তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেন । আশা করি এ সেতুর মাধ্যমে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে।
Leave a Reply