সানোয়ার হাসান সুনু: হেফাজতের মালিক আল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক সকল প্রকার বালামুসিবত থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন এবং নিরাপদে রাখুন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ওজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার শত শত পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে অনেকের বাড়ী ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। গরুবাচুর নিয়ে অনেকে বিপাকে পড়েছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় সব গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আলবশিরুল ইসলাম আমাকে জানিয়েছেন, উপজেলার স্কুল কলেজ মাদরাসা গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় ১৪৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মঙ্গঁলবার (১৮. ৬. ২৪) জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের স্বরুপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী গার্লস হাই স্কুল,সরকারী ডিগ্রী কলেজ,আব্দুস সামাদ আজাদ অডিট রিয়াম,উত্তর জগন্নাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যাকবলিত শত শত পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এ সমস্ত আশ্রয় কেন্দ্রে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। অনেকে গরু বাচুর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জগন্নাথপুর পৌরসভা সহ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন। বাড়ী- ঘর সহ তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ব্রিজ। মানুষজন পড়েছেন দূর্ভোগে। গরু- বাচুর নিয়ে অনেকে পড়েছেন বিপাকে। কেউ কেউ রাখার জায়গা ও গোখাদ্যের অভাবে কমমূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অনেকেই ২০২২ এর প্রলয়কারী বন্যার কথা ভেবে আতঁকে উঠেন। জানাযায়,বুধবার সিলেট আসছেন ত্রানমন্ত্রী ও ত্রানসচিব সহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। তারা সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করবেন। জগন্নাথপুরের সার্বিক বন্যপরিস্হিতি তাদের কে অবহিত করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আল বশিরুল ইসলাম। তিনি দ্রুত বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ত্রানসামগ্রী প্রেরনের আহবান জানাবেন। জগন্নাথপুরের বিত্তশালী ও ধনাঢ্য ব্যাক্তিদের ও বন্যাকবলিত দূর্দশাগ্রস্হ মানুষের পাশে দাড়াঁনোর আহবান জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের সহায় হউন।আ-মীন।
Leave a Reply