সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের আহসানমারা ব্রীজ সংলগ্ন মহাসড়কের দু’পাশে আশ্রয় নিয়েছেন ২০-২৫টি বন্যার্ত পরিবার৷ ত্রিপল, টিন, বস্তা দিয়ে তৈরী এসব ঘরে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন তারা৷ নেই বিদ্যুৎ, নেই নিরাপদ পানি সবমিলিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের।
রাস্তার দু’পাশ দিয়ে অভিরাম চলছে দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন। পাশাপাশি রাস্তার দুপাশে সমানতালে হাঁটাচলা করছেন বন্যার্তরা। শিশুরাও এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সড়ক পথে যাওয়ার সময় সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের ট্রাক দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। যা শুকনো খাবার পাচ্ছেন সেগুলো দিয়েই জীবনধারণ করছেন। মহাসড়কে আশ্রয় নেয়া বেশিরভাগ মানুষই শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কস ইউনিয়নের খাকিয়ারপাড় এলাকার৷ বন্যায় সবকিছু প্লাবিত হওয়ায় মহাসড়কই এখন ভরসা এসব বন্যার্ত পরিবারের।
মহাসড়কে ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নেয়া খাকিয়ারপাড় এলাকার হিম্মত আলী বলেন, বাড়িঘর থেকে এখনো বন্যার পানি না কমায় আজ ৩ দিন হয় এখানে আছি। এখানে প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি আছে৷ ঘরবাড়ি প্লাবিত থাকায় ঝুঁকি জেনেও মহাসড়কের পাশে বসবাস করছি৷ প্রশাসনের পক্ষথেকে ত্রাণ পেলেও তা খুবই কম।
শুধু হিম্মতই আলীই নয় এভাবে ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন আরও অনেক বন্যার্তরা। ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে৷ পানি কিছু কমলেও ঘরে ফেরার অবস্থা নেই৷ এমন অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি থাকার সত্ত্বেও সড়কেই বসবাস করছেন তারা৷
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, আমরা সর্বত্রই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছি৷ বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।এভাবে আবহাওয়া থাকলে দ্রুত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
Leave a Reply