শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

শান্তিগঞ্জে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে বন্যার্তদের বসবাস, আছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

শান্তিগঞ্জে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে বন্যার্তদের বসবাস, আছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

সামিউল কবির, শান্তিগঞ্জ থেকে :: শান্তিগঞ্জে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় প্লাবিত হয়েছে পুরো উপজেলা৷ ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় এখনো ঘরছাড়া হাজারো মানুষ। কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে কেউবা উঁচু স্থানে জীবন বাঁচাতে যে যেখানে পেরেছেন নিয়েছেন আশ্রয়৷ অনেকে আবার আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহাসড়কে৷ সড়কের ওপরে বাঁশের সঙ্গে ত্রিপল বেঁধে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে মানুষ ও গবাদিপশু একসাথেই বসবাস করছেন। যেন মানুষে পশুতে মিলেমিশে একাকার। সড়কে থাকায় অধিকাংশ ঘরে নেই রান্নার ব্যবস্থা। মহাসড়ক যেন এখন একখন্ড আশ্রয় কেন্দ্র৷ একদিকে চলছে দ্রুত গতির যানবাহন অন্যদিকে বন্যার্তদের ঝুপড়ি ঘর এমন অবস্থায় জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন এসব বন্যার্ত পরিবারের মানুষজন। তবে পানি কমতে শুরু করায় অনেকেই ফিরেছেন বাড়িতে৷
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের আহসানমারা ব্রীজ সংলগ্ন  মহাসড়কের দু’পাশে  আশ্রয় নিয়েছেন ২০-২৫টি বন্যার্ত পরিবার৷ ত্রিপল, টিন, বস্তা দিয়ে তৈরী এসব ঘরে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন তারা৷ নেই বিদ্যুৎ, নেই নিরাপদ পানি সবমিলিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের।
রাস্তার দু’পাশ দিয়ে অভিরাম চলছে দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন। পাশাপাশি রাস্তার দুপাশে সমানতালে হাঁটাচলা করছেন বন্যার্তরা। শিশুরাও এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সড়ক পথে যাওয়ার সময় সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের ট্রাক দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। যা শুকনো খাবার পাচ্ছেন সেগুলো দিয়েই জীবনধারণ করছেন। মহাসড়কে আশ্রয় নেয়া বেশিরভাগ মানুষই শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কস ইউনিয়নের খাকিয়ারপাড় এলাকার৷ বন্যায় সবকিছু প্লাবিত হওয়ায় মহাসড়কই এখন ভরসা এসব বন্যার্ত পরিবারের।
মহাসড়কে ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নেয়া খাকিয়ারপাড় এলাকার হিম্মত আলী বলেন, বাড়িঘর থেকে এখনো বন্যার পানি না কমায় আজ ৩ দিন হয় এখানে আছি। এখানে প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি আছে৷ ঘরবাড়ি প্লাবিত থাকায় ঝুঁকি জেনেও মহাসড়কের পাশে বসবাস করছি৷ প্রশাসনের পক্ষথেকে ত্রাণ পেলেও তা খুবই কম।
শুধু হিম্মতই আলীই নয় এভাবে ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন আরও অনেক বন্যার্তরা। ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে৷ পানি কিছু কমলেও ঘরে ফেরার অবস্থা নেই৷ এমন অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি থাকার সত্ত্বেও সড়কেই বসবাস করছেন তারা৷
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, আমরা সর্বত্রই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছি৷ বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।এভাবে আবহাওয়া থাকলে দ্রুত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com