শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

প্রশাসন দেশে কোনো কণ্ঠস্বরকে সীমাবদ্ধ করবে না: ড. ইউনূস

প্রশাসন দেশে কোনো কণ্ঠস্বরকে সীমাবদ্ধ করবে না: ড. ইউনূস

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানিয়েছেন, তার প্রশাসন দেশে কোনও কণ্ঠস্বরকে সীমাবদ্ধ করবে না।

নিউইয়র্কের একটি হোটেলে অর্ধ ডজনেরও বেশি শীর্ষ বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে মানবাধিকার কর্মকর্তারা হাসিনার শাসনামলে প্রায় ৩ হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আরও জোরালো তদন্তের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

কর্মকর্তারা নিরাপত্তা খাত সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া হাসিনার শাসনামলে বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তি আটকেরা রাখা, ওইসব গোপন সেলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহিতার আহ্বান জানান।

রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকারের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি নয়জন মানবাধিকার কর্মকর্তার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এছাড়া অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডও বৈঠকে যোগ দেন।

ক্যালামার্ড বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো উচিত যে এটি একটি নতুন বাংলাদেশ।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী শাসনামলে নাগরিক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার কীভাবে অস্বীকার করা হয়েছিল এবং তার সরকার দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ পর্যন্ত কী করেছে তার সংক্ষিপ্ত রূপরেখা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তার সরকার বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের জন্য পুলিশ সংক্রান্ত একটি কমিশনসহ বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে’।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার কার্যকলাপের যে কোনও সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে। একইসঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন নেতৃবৃন্দদের অবহিত করেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন বাকস্বাধীনতা বজায় রাখবে’।

‘এই সরকার কোনো সমালোচনায় মাথা ঘামাচ্ছে না। আসলে আমরা সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, সরকার দেশে কোনও কণ্ঠস্বরকে সীমাবদ্ধ করবে না।’

বৈঠকে সাবেক হংকং-ভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক জুলিয়া ব্লেকনারও বক্তৃতা করেন।

~ সৌজন্যে – যুগান্তর।।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com