নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বুধবার থেকে শুরু হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার। ইতোমধ্যে উপজেলার ৪১টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি, সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ শেষ হয়। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মন্ডপে মন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর পৌরসভা ও উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ৪১ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে। এরমধ্যে ৩৫ টি সার্বজনীন এবং ৬টি পূজা ব্যক্তিগতভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এসব পূজা কেন্দ্র গুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া পূজা কেন্দ্র গুলোতে স্বেচ্ছাসেবীও থাকবে।
বাংলদেশ সেনাবাহিনীর জগন্নাথপুর ক্যাম্প প্রধান ক্যাপ্টেন সুয়েব আহমদ জানান, জগন্নাথপুরে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত আছে। প্রতিটি পুজা মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদ জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সতিশ গোস্বামী জানান, জগন্নাথপুর উপজেলায় মোট ৪১ টি পূজামন্ডপে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ৬টি কেন্দ্রে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এই ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি জগন্নাথপুর পৌরসভা ও বাকি ৩টি পৌরসভার বাইরে। ব্যক্তিগতভাবে আয়োজন করা এই ৬টি পূজা কেন্দ্র হচ্ছে- জগন্নাথপুর পৌর এলাকার বটেরতল সংলগ্ন মহাজন বাড়ি, পূর্ব ভবানীপুরে রেণু শর্মার বাড়ি, জগন্নাথপুর এলাকায় অনিল দেবের বাড়ি, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গিয়ার গাঁও, মিরপুর ইউনিয়নের বড়কাপন ও চিলাউড়া- হলদিপুর ইউনিয়নের গয়াসপুরের একটি বাড়িতে । তিনি জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার কোনো পূজা কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নয়। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবকয়টি পূজা মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে ১০ জন করে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আখন্দ বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার ৪১টি পূজামন্ডপে দূর্গোৎসব সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিটি পূজামন্ডপে পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারি আছে। পাশাপাশি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply