শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন
সানোয়ার হাসান সুনু ::
জগন্নাথপুর -বিশ্বনাথ -সিলেট সড়ক উদ্বোধনের আগেই ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে বিরুপ সমালোচনা চলছে। গত ১৯ মে এ রোডের জগন্নাথপুর উপজেলার ১৩ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করার কথা ছিল পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের। কিন্তু সড়কটি গত ৩/৪ দিন ধরে বিভিন্ন স্হানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মন্ত্রী এ দিন না আসায় সড়কটি উদ্বোধন করা হয় নি।
অভিযোগ রয়েছে ইটের খোয়া ও নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করে বিগত দিনের মতো এবার ও মোটা অংকের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।
কোন জবাবদিহিতা না থাকায় এ সড়কের বরাদ্ধ নিয়ে চলছে তুঘলকি কারবার ও ফ্রি ষ্টাইল দূর্নিতী। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের দূর্ভোগের যেন শেষ হচ্ছে না।
জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের কাজ পুরোপুরি শেষ না হতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সরেজমিন দেখা যায় এ সড়কের ভবের বাজার এলাকায় বড় আকারের ভাংগন শুরু হয়েছে । লক ডাউনের কারনে সীমিত আকারে হালকা যানবাহন চললেও নব নির্মিত সড়কটি ভেংগে যাচ্ছে। লকডাউন খোলার পর সড়কটির কি যে হবে তা সহজে অনুমেয়।
জগন্নাথপুর- সিলেট সড়ক টেকসই করার জন্য উপজেলাবাসীর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের ফলশ্রুতিতে স্হানীয় এমপি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় ৫০কোটি টাকা বরাদ্দে অবহেলিত এই ২৫ কিলোমিটার সড়কের পূনঃনির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৯ ইং সনে কাজ শুরু হলে দির্ঘ প্রায় ২ বছর পর জগন্নাথপুর অংশের ১৩কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হলে ও বিশ্ব নাথ অংশের কাজ এখন ও শেষ হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ -সিলেট সড়কের পূনঃ নির্মাণ কাজের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। জগন্নাথপুর অংশের ১৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২৫ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করা হলে মাদারীপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হামীম সালেহ (জেভি) অংশ নেয়। এসময় দ্রুত সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করতে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত দরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সড়কে পূনঃনির্মান কাজ পূরোদমে শুরু শুরু হয়। অন্যদিকে বিশ্বনাথ অংশের ১২ কিলোমিটার কাজ পায় ঢাকার শাওন এন্টারপ্রাইজ । দীর্ঘ ২ বছরে অর্ধেক কাজ ও হয়নি। কাজ হচ্ছে একেবারে ধীরগতিতে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান যুগান্তর কে বলেন,নিম্মমানের সামগ্রী ও টেকসই কাজ না হওয়াতে সড়কটির বিভিন্ন অংশ ধসে যাচ্ছে। ঠিকাদাররা দায়সারাভাবে কাজ করে মোটা অংকের টাকা লুটপাট করছে। এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, সড়কের মাটি ধ্বসে যাওয়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে বলা হয়েছে- ভাঙ্গা স্থান মেরামত করার জন্য।
তিনি জানান, লকডাউনের কারনে উদ্বোধন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
Leave a Reply