বুধবার বিকেলে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। এবিষয়ে ২২ জুন জগন্নাথপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামাল উদ্দিন। তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, সিরামিসি গ্রামের মৃত হবিব উল্লার ছেলে তফাজ্জুল আলী ও তাঁর ছেলেরা এলাকায়, অন্যায়. অত্যাচার চালিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে এলাকায় এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। গ্রামের আকিল আলীর বাড়ির পশ্চিমে মেঘাখালির খালের মাছ ধরে এলাকার গরীব লোকজন জীবন জীবিকা চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তফাজ্জুল আলীর লোকজন এলাকার লোকজনকে মাছ ধরতে বাধা প্রদান করে সেখান থেকে তফাজ্জুল আলী জোরপূর্বক মাছ ধরে বিক্রি করে। এছাড়া বেল জালের পাশে একটি ছাপটা ঘর তৈরী করে প্রতিনিয়ত মদ, গাঁজা সেবনসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এতে এলাকার লোকজন বাধা দিলেও তফাজ্জুল আলীর লোকজন উল্টো স্থানীয়দের হুমকি দামকি দেয়। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করা হয়। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়ার ঘরটি সম্মিলিতভাবে ভেঙে দেন।
এঘটনার পর গ্রামবাসীকে হয়রানির জন্য এলাকার শান্তিপ্রিয় ৩৩জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ২১ জুন জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, গত বোরো মৌসুমে তফজ্জুল আলী ও তাঁর ছেলেদের বাধার কারণে মেঘারকালী খাল থেকে বোরো জমিতে পানি সেচ করতে পারেননি স্থানীয় কৃষকরা। এতে প্রায় অর্থ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে বলে দাবী করা হয়। এছাড়া অভিযোগ করা হয়, সিরামিসি গ্রামের মসজিদের এসি নিয়ে মসজিদ কমিটির সঙ্গে
ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করেছিলেন তফাজ্জুল আলী,বছরখানেক পূর্বে তফজ্জুল আলীর নেতৃত্বে মসজিদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে পরে পুলিশের উপস্থিতিতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, বিরোধপূর্ণ জায়গায় তফজ্জুল আলীর কোন অধিকার কিংবা স্বত্ব নাই । গ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহবান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস মিয়া, চেরাগ আলী, আব্দুল মমিন, মতিউর রহমান, দুদু মিয়া, সুনু মিয়া, আহমদ আলী, মুজিবুর রহমান, ময়নুল আলম, সাদিক মিয়া, মাসুম মিয়া প্রমুখ।
Leave a Reply