স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের জমজ দুই শিশুর মা করোনাভাইরাস আক্রান্ত সৈয়দা রিনা বেগমের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিতে অনেক হৃদয়বান ব্যাক্তি এগিয়ে এসেছেন। দরিদ্র ওই নারী বর্তমানে সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সৈয়দা রিনা বেগমের স্বামী নির্মাণ শ্রমিক সুফি মিয়া তার স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। স্ত্রী ও দুই জমজ শিশুকে বাঁচাতে আর্থিক সহায়তার জন্য তিনি আকুতি জানালে এলাকার প্রবাসী, বিত্তবানসহ হৃদয়বান ব্যক্তিরা আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এর আগে এ সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে বিষয়টি নজরে আসে অনেকের।
শুক্রবার বিকেলে সৈয়দা রিনা বেগমের স্বামী সুফি মিয়া বলেন, স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আর হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এলাকাবাসীসহ অনেক বিবেকবান ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসায় মনে সাহস পাচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো আর্থিক সহায়তা পেয়েছি।
পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক সুফি মিয়ার স্ত্রী সৈয়দা রিনা বেগম গত ১৫ আগস্ট সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই জমজ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। এক সঙ্গে দুই সন্তানের জন্মে পরিবারে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। কিন্তু এর মধ্যে রীনা বেগমের করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষায় সৈয়দা রিনা বেগমের করোনা শনাক্ত হয়। প্রথমে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত বুধবার রাতে তাকে সিলেটের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে, জমজ দুই শিশু বর্তমানে তাদের নানাবাড়ি সৈয়দপুরের আগুনকোনা গ্রামে দুই খালার নিকট রয়েছে। তাদের দেখভাল করছেন বড় খালা সৈয়দা শাহেনা বেগম ও মেজো খালা সৈয়দা শামীনা বেগম। দুই শিশু তাদের খালাদের বুকের দুধ পান করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মধুসূদন ধর জানান,করোনাভাইরাস আক্রান্ত মা মুখে মাস্ক পরিধান করে বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে পারবেন।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার সায়েখুল ইসলাম জানান, আমরা খোজ নিয়ে জেনেছি বর্তমানে রোগীর অবস্হা কিছুটা উন্নতি হয়েছে ।
Leave a Reply