শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সেমিনারে তারেক রহমান; আগামীর বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীও স্বেচ্ছাচারী হতে পারবে না জগন্নাথপুরে কিশোর হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেপ্তার ২ ৩য় বারের মতো জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচিত হলেন মাওলানা লুৎফুর রহমান জগন্নাথপুরে মসজিদ কমিটি কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংর্ঘষে বৃদ্ধ নিহত, আহত ৩৫ যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ও এম এ ছাত্তার এর স্বদেশ আগমন সিলেটে মুনতাহা হ ত্যা কা ণ্ড : চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল পুলিশ জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবে  দ্বিতীয় ধাপে প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান জগন্নাথপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার জগন্নাথপুরে কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি -২৪ সম্পন্ন জগন্নাথপুরে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জনশক্তি সমাবেশ

সিসিক’র ৮৩৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

সিসিক’র ৮৩৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক ::

 

সমপরিমাণ আয় ও ব্যয় ধরে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বালুচরস্থ আমান উল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বাজেট ঘোষণা করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাত দেখানো হয়েছে- হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৪ কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার উপর কর ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহিতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৯০ লাখ টাকা, ঠিকাদারী তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৩০ লাখ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৫৫ লাখ টাকা, ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১৭ লাখ টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ কোটি টাকা, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৬০ লাখ টাকা, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৫০ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগের ফি বাবদ ৮০ লাখ টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বাজেটে উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাত দেখানো হয়েছে- সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ১০ কোটি টাকা, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি খাতে ৩১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, অন্যান্য প্রকল্প মঞ্জুরী বাবদ ১ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ১০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ১৩০ কোটি টাকা, ২০১৮ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা, মহানগরীর নাগরিক সেবাবৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, নগর ভবনের ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা, মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশন এসফল্ট প্লান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ খাতে ৩০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা।

এছাড়া লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, তোপখানা পানি শোধনাগারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বোতলজাত করে বিক্রয় প্রকল্প খাতে ৩০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, উৎপাদন নলকূপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সুরমা নদীর উত্তর তীর ঘেষে সার্কিট হাউসের সম্মুখ হতে হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত রিটেইনিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪ টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি গরুর হাট নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন খাতে ২০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাজার, কবরস্থান, শশ্মান ঘাট, ঈদগাহ উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

ব্যয়ের খাত হিসাবে ২৭ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরগণের স্থায়ী অফিস স্থাপন প্রকল্প ২ কোটি টাকা, ভারতীয় অনুদানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নত পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন এলাকার অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ ও পূর্ত কাজের পাওনা পরিশোধের জন্য বরাদ্দ বাবদ ৫ কোটি টাকা, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের আওতায় ইওসি নির্মাণ প্রকল্প ৫ লাখ টাকা, মহানগরীর সুয়ারেজ মাস্টার প্লানের ফিজিবিলিটি স্টাডিকরণ প্রকল্প ৫ কোটি টাকা, ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য ১৩.১৩ একর জমি অধিগ্রহণ ৫ কোটি টাকা, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প খাতে ৫০ লাখ টাকা, নগরীর বস্তিসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত ফি ও সিটি কর্পোরেশন আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যায় গ্রহণ বাবদ মোট ৪৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

বাজেটে রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৮০ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা, শিক্ষা ব্যয় খাতে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য ও প্রয়ঃপ্রণালী খাতে ব্যয় বাবদ ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ খাতে ব্যয় ৫০ লাখ টাকা, বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় খাতে ২০ লক্ষ টাকা, মোকদ্দমা ফি ও পরিচালনা ব্যয় বাবদ ২৫ লাখ টাকা, জাতীয় দিবস উদযাপন ব্যয় খাতে ৭০ লাখ টাকা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ব্যয় খাতে ১ কোটি টাকা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি ব্যয় খাতে ১৫ লাখ টাকা, মেয়র কাপ ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মেয়র কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা।

এছাড়া রিলিফ বা জরুরি ত্রাণ ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, আকস্মিক দুর্যোগ/বিপর্যয় খাতে ব্যয় বরাদ্দ ২ কোটি টাকা। রাস্তা আলোকিতকরণ ব্যয় বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা, কার্যালয় বা ভবন ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, নিরাপত্তা/সিকিউরিটি পুলিশিং ব্যয় খাতে ৫০ লাখ টাকা, ডিজটাল মেলা আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা। অনান্য ব্যয় খাতে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এছাড়া পানি সরবরাহ শাখার সংস্থাপন ব্যয়সহ পানির লাইনের সংযোগ ব্যয়, পাম্প হাউজ, মেশিন, পাইপ লাইন মেরামতে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় মেয়র আরিফ নগরবাসীকে বকেয়া কর পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নগরবাসী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য বকেয়া পাওনা পরিশোধ করলে বছরে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব খাতে সর্বমোট ৮২ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা আয় হবে। এতে নগরীর উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে এবং উন্নয়নকাজে সরকারের উপর নির্ভরতা কমবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com