বিশেষ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার- পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনপ্রিয় ডাক্তার মধুসূদন ধর এর বদলীর বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না জগন্নাথপুর বাসী।
সম্প্রতি তিনি জগন্নাথপুর থেকে বদলী হয়ে পদন্নোতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সিলেট সদরের ইন্সটিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগদান করেছেন।
ডাক্তার মধুসূদন ধর বলেন, আমি জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার এলাকাবাসীর চিকিৎসা সেবার উন্নয়নে প্রানপন চেষ্টা করেছি। হাসপাতালেরর পুরাতন ভবনটি খুবই ঝুকিঁ পূর্ন। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন বহুতল ভবন নির্মান এটা সময়ের দাবী। আমি লিখিত ভাবে উধর্ত্বন কর্তৃপক্ষ কে
জানিয়েছি। আমাদের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান স্যার কে ও জানিয়েছি।
খুব দ্রুত ভবনটি নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে আমি আশাবাদী।
আমি সিলেটে গেলেও জগন্নাথপুরের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমি সপ্তাহে দু এক দিন আসার চেষ্টা করবো। এখানে দীর্ঘ দিন দ্বায়িত্ব পালনে মনের অজান্তে ভূলত্রুটি হওয়াটা স্বাভাবিক। সবাই ভূলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি সকলের নিকট দুয়া প্রত্যাশী।
জগন্নাথপুর বাজারের পরলোকগত বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী বাবু মিহির ধরের সুযোগ্য সন্তান
মধুসূদন ধর। তার বড় ভাই জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক মিন্টু রন্জন ধর ।
জানাযায়, জগন্নাথপুরের কৃতিসন্তান ডাক্তার মধুসূদন ধর ২০১১ সালে তার জন্মমাটির এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন (মেডিকেল অফিসার) চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন । অল্পদিনে তাঁর সেবার মানসিকতায় তিনি এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ২০১৬ সালে তিনি আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে ২০১৮ সাল থেকে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকে এলাকাবাসীর কল্যাণে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে তিনি নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য ডাক্তার সেই সাথে অমায়িক ব্যবহারের এক জন ভালো মানুষ ও। গরীব ধনী নির্বিশেষে জগন্নাথপুরের অনেক মানুষ কে তিনি বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও গরীব রোগী দের তিনি আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। এই মানবতাবাদী ডাক্তারের ত্যাগ ও উদার মনমানসিকতার কারনে জগন্নাথপুর বাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
গরীবের ডাক্তার খ্যাত এই মানবতা বাদী
ডাক্তারের বদলীর বিষয়টি এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আক্তার হোসেন এ প্রতিবেদক কে বলেন, ডাক্তার মধু জগন্নাথপুরের সন্তান ফলে এলাকার সবাই পরিচিত। ফলে সহজে মানুষ তার কাছে গিয়ে মনখুলে
কথা বলতে পেরেছে। অনেকে ফ্রী চিকিৎসা পেয়েছে। নীজ এলাকার প্রতি তার হৃদয়ের টান রয়েছে। ফলে জগন্নাথপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মিজানূর রশীদ বলেন,
ডাক্তার মধু এক জন মানব দরদী ডাক্তার।
তিনি নিঃস্বার্থভাবে বাড়ীতে গিয়ে ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। তিনি একজন মহৎ হৃদয়বান মানুষ। আমাদের হসপিটালে তার মত দ্বায়িত্ব শীল মানবিক মানুষের খুবই প্রয়োজন।
জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি, মোঃ সানোয়ার হাসান সুনু বলেন, ডাক্তার মধু হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি পায়। ল্যাবরেটরি তে নানা পরিক্ষার ব্যবস্হা করা হয়। অনেক ইন্সট্রুমেন্ট স্হাপন করা হয়। গরীবের ডাক্তার খ্যাত মানবতাবাদী ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ডাক্তার মধু বিনাপয়সায় এলাকার অনেক মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। অনেকের বাড়ীতে গিয়েও নিঃস্বার্থ ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
তার এই ত্যাগ ও উদার মানষিকতা মানুষের হৃদয়ে স্হান করে নেন। অনেক গরীব মানুষ কে তিনি আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে দেখেছি। মানুষের প্রতি তার এই ভালবাসার কারনে মানুষ ও তাকে আন্তরিক ভাবে ভালবাসে। তার এই অমায়িক ব্যবহারের কারনে এলাকাবাসীর নিকট তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
আমি এই মানবতাবাদী ডাক্তার মধু সূধন ধর এর সার্বিক মঙ্গঁল কামনা করি।
Leave a Reply