স্টাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জগন্নাথপুর ও শান্তিগন্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভোটারদের মধ্যে। ইতি মধ্যে বর্তমান এমপি পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদ তনয় আজিজুস সামাদ ডন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ও লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জামান নাসের ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযুদ্ধা সৈয়দ আতাউর রহমান আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কিছু দিনের মধ্যে নিশ্চিত হয়ে যাবে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি।
এদিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আজিজুস সামাদ ডন কে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন তার সমর্থক রা। আজিজুস সামাদ ডন ও এলাকায় বিয়েশাদী সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্হিত হচ্ছেন ও গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্য দিকে এলাকায় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন ও নির্বাচনী মাঠে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান এম.পি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান।
এ ব্যাপারে প্রায় ১৫ বছর ধরে জাতীয় সংসদে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করা পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নানের সাথে আলাপ করলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, দেশ রত্ন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমার এলাকায় অনেক বড় বড় উন্নয়ন কাজ হয়েছে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আমার অনেক স্বপ্ন আছে আমি আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ভোটারদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। তিনি বলেন, আমি নেত্রীর প্রতি আস্হাশীল। আমার বিশ্বাস দল আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
এ দিকে আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুস সামাদ আজাদ ডনের সাথে আলাপ হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমি নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমার বাবা জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ এ এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
এদিকে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক
ও লন্ডন মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জামান নাসের, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীরমুক্তি যুদ্ধা
আতাউর রহমান
আসন্ন নির্বাচনে সুনামগঞ্জ – ৩ নিবার্চনী এলাকার প্রার্থী হতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে যুগান্তর কে জানিয়েছেন। অন্যদিকে জাপা থেকে যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টীর যুগ্নসম্পাদক তৌফিক আলী মিনার দলীয় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানাগেছে।
এদিকে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুহুরায়রা ছাদ জানান, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা। ফলে এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
উল্লেখ্য ভিআইপি আসন হিসাবে খ্যাত এ নির্বাচনী এলাকা থেকে এর আগে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, জাপা নেতা সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী ফারুক রশীদ চৌধুরী ও জমিয়ত নেতা মাওলনা শাহিনুর পাশা চৌধুরী
সংসদ সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদে একাধিকবার এ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে উল্লেখিত দুই প্রার্থী এমএ মান্নান ও আজিজুস সামাদ ডনকে নিয়ে গনসংযোগ চালিয়ে যাওয়াতে ভোটারদের মধ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তাই ভোটারদের প্রশ্ন আসন্ন নির্বাচনে কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী। এম.এ মান্নান না আজিজুস সামাদ ডন। এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে। তবে আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারনী মহলের একটি সুত্র জানায়,আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে বর্তমান এমপি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান কে গ্রীন সিগনাল দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ডন অনুসারীরা জানিয়েছেন, আজিজুস সামাদ ডন কেন্দ্রের নির্দেশ ও আশ্বাস পেয়েই সার্বক্ষণিক এলাকায় অবস্হান করে নির্বাচনী গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
শেষ পর্যন্ত কে হবেন নৌকার মাঝি এটা
দেখতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
Leave a Reply