সানোযার হাসান সুনু:সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
ধান কাটার ধুম পড়েছে হাওর গুলোতে। তবে আবহাওয়া অধিদফতরের ঘোষনার প্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশংকায় উপজেলার ১২টি হাওরে পাকা অনেকটা পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। অনেকই খুশি মনে ধান কাটছেন।
এতে তাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। এবছর এ উপজেলায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার সিংহভাগ জনসাধারণ কৃষি নির্ভর। বিশেষ করে বোরো ধানে চলে সারা বছরের খোরাক। ধানের বড় একটি অংশ বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, প্রবাসে পাঠানো, বিয়ে-শাদি ও সংসার চলে এই উপজেলার অধিকাংশ কৃষক পরিবারের।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্যমতে, পুরো উপজেলার ১২টি হাওরে ২০ হাজার ৪শ’ ২৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ফলনের লক্ষমাত্রা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৪’শ ৩৫ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ১৮ হাজার শ্রমিক ও ৭৪টি কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে হাওরের প্রায় ৪০ পার্সেন্ট ধান কর্তন হয়েছে।
নলুয়ার হাওরের কৃষক আনর মিয়া বলেন, ১৭ কেদার জমিতে চাষাবাদ করে গতবছরের চেয়ে ভালো ফলন হয়। এতে আমি খুশি। আশাবাদী এবার প্রায় সোয়া ২ শ’ মন ধান পাবো।
কৃষক আলী হোসেন বলেন, এবার ২ হাল জমিতে চাষাবাদ করলে আল্লাহর রহমতে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আমার জমিতে গত ৪ দিন ধরে ১০ জন শ্রমিক কাজ করছে। আমি আশাবাদী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কর্তন শেষ হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কাওছার আহমেদ বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে ৮০ শতাংশ ধান পাকলে তারপরই ধান কর্তন করে নেন।পাশাপাশি প্রাকৃতিক দূর্যোগ সম্পর্কেও সচেতন করছি। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনকূলে থাকায় এ বছর এ উপজেলায় বোরো ধানের ফলন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্হানীয় প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, সরকার এ উপজেলার হাওর গুলোতে সাড়ে ২৫ কিলোমিটার বেরী বাধঁ নির্মান করেছেন।৪০টি পিআইসির মাধ্যমে প্রায় ৭কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ মার্চের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ হয়। এর পরেও আমরা জরুরী রক্ষনা বেক্ষনের জন্য বরাদ্ধ রেখেছি। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যে হাওরের ধান কাটা সম্পন্ন হবে।
Leave a Reply