নিজস্বপ্রতিবেদক: কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় শতভাগ বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবার বাম্পার ফলনের কারণে এবছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। গোলা ভরা ধান পেয়ে কৃষক-কৃষাণীর মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মই হাওরের ভবানীপুর এলাকায উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে ফসল কর্তন সমাপনী উৎসবের আয়োজন করা হয়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু হোরায়রা সাদ মাষ্টার,জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি তাজউদ্দিন আহমদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান, খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারী মাওলানা সাজাওযার হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী সবুজ কুমার শীল, জগন্নাথপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সতীশ গোস্বামী, সাংবাদিক আমিনূল হক শিপন, শাহজহান মিয়া, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ফুজায়েল আহমদ প্রমুখ। এসময় স্থানীয় কৃষক কৃষাণিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ জানান, গত ১৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০ দিনের মধ্যে উপজেলার বৃহত্তর নলুয়ার হাওরসহ ছোট-বড় ১৫টি হাওরের ধান কাটা শেষ হয়। তবে বাড়ি আশপাশ ও হাওরে কৃষকের সুবিধা অনুযায়ী ধান কর্তনে কিছু সময় বেশি লেগেছে। এ বছর মোট ২০ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়। শতভাগ ফসল কর্তনে উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৭ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ শত কোটি টাকা।
Leave a Reply