শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটার কার্যক্রম পরির্দশন করতে শনিবার বিকেলে হাওরে এসেছিলেন কৃষি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটার সুবিধা-অসুবিধা সরেজমিনে দেখে জন প্রতিনিধি, কৃষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে যন্ত্রের মাধ্যমে শস্য কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস ও মতবিনিময় সভা করেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে ও কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার এর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মোহসীন, পরিচালক মীর নুরুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান মোঃ রেজাউল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষন ও মুল্যায়ন বিভাগ এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান নাজমুল আলম, খামার যান্ত্রিককরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনবৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক নাজিম উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আই এফ এমসির প্রকল্প পরিচালক মৃতুঞ্জয় রায়, খামার যান্ত্রিককরন প্রকল্পের উপ-পরিচালক শেখ ফরিদ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বেগম, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের সদস্য সচিব সাংবাদিক অমিত দেব, কৃষক নিজাম উদ্দিন জালালী, আলী আকবর প্রমুখ
মতবিনিময় সভায় কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কমসময়ে কমখরচে ধান কাটার সুবিধা থাকলে কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্রটি চালানোর প্রশিক্ষন না থাকায় যন্ত্রের ব্যবহার সঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। এছাড়াও ত্রুটি দেখা দিলে যন্ত্রানংশ ক্রয় করতে পাওয়া যায় না। এতে আমাদেরকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সরকারী সুবিধা নিয়ে কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্রক্রয়কারী আরেক কৃষক আলী আকবর বলেন, যন্ত্রের সঠিক ব্যবহার না জানায় যন্ত্রদিয়ে ধান কাটার সময় অনেক ধান থেকে যায়। এতে করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এক কেদার জমির ধান কাটতে দেড়লিটার ডিজেল ও চালকসহ দুইজন শ্রমিক লাগে। তারা দেড় হাজার টাকা কেদারে কৃষকদেরকে কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্রদিয়ে ধান কেটে দিচ্ছেন।
এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, এসব সমস্যা সমাধানে কৃষি বিভাগ পদক্ষেপ নিবে। তিনি সরকার থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকির মাধ্যমে কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্রটি প্রদান করায় যন্ত্রটির মালিককে অতিরিক্ত মুনাফা না করে কৃষকদেরকে কম খরচে ধান কেটে দেয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের কথা চিন্তা করে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। আগামীতে হাওরে আরো বেশী করে কম্বাইন হারভেষ্টার যন্ত্র দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply