রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ জগন্নাথপুরে চিনা বাদাম প্রদর্শনী মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত টানা ৩য় বার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন হারুন রশীদ জগন্নাথপুরের লহড়ী গ্রামে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতি: অস্ত্রসহ দুইজন গ্রেফতার জগন্নাথপুরে হারানো লাখ টাকা খুঁজে উদ্ধার করে দিল থানা পুলিশ জগন্নাথপুরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন রানীগঞ্জ সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন- ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ জগন্নাথপুরে ধান চাল ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন: লটারির মাধ্যমে মনোনীত ৮১০ ভাগ্যবান কৃষক জগন্নাথপুর পৌরশহরে ৩৫ দোকানঘর  ভাড়া থানায় দিলেন ব্যবসায়ী গন জগন্নাথপুরে চুরি যাওয়া ৩টি টমটম উদ্ধার : গ্রেপ্তার ৪ 

তিন বান্ধবীর একসঙ্গে বিষপান, একজনের মৃত্যু

তিন বান্ধবীর একসঙ্গে বিষপান, একজনের মৃত্যু

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: একসঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে পাবনার ঈশ্বরদীর বাঁশেরবাদা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির তিন ছাত্রী। এদের মধ্যে শনিবার সকালে বর্ষা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

ওই তিন ছাত্রী পরস্পর বন্ধবী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত বর্ষা পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের চরসাহাদিয়ার গ্রামের কবি শেখের মেয়ে। বর্ষার বাবা কবি শেখ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য দুজন হলো- চরসাহাদিয়ার গ্রামের তালেব হোসেনের মেয়ে ববিতা খাতুন (১৪) ও কুবের দাসের মেয়ে সঙ্গীতা দাস (১৪)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের চরসাহাদিয়ার গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু কী কারণে তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, এক প্রেমিকের সঙ্গে তিন বান্ধবীর প্রেম। প্রেমিক উধাও হওয়ার খবর পেয়ে অভিমানে তারা একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, দুটি বিষয়ের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় পরিবারের লোকজনের ভয়ে ও লজ্জায় তারা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চরসাহাদিয়ার মাঠের মধ্যে বর্ষা, ববিতা ও সঞ্চিতা একসঙ্গে কীটনাশক ওষুধ খেয়ে গোঙড়াতে থাকে। এ সময় মাঠের লোকজন শব্দ শুনে এগিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে দাপুনিয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সালামের কাছে নিয়ে যায়।
পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সালাম জানান, প্রাথমিক অবস্থায় তিনজনের বিষ পেট থেকে বের করা হয়। কিন্তু বর্ষার অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত তাকে পরিবারের লোকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ববিতা বিষমুক্ত হওয়ায় তাকে পরিবারের লোকজন বাসায় নিয়ে যায়। আর সঞ্চিতার অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টেলিফোন অপারেটর সঞ্চিতার ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার চিকিৎসা চলছে।
পল্লী চিকিৎসক আব্দুল সালাম বলেন, বিষপান করা তিনজনের মুখ থেকে জেনেছেন- পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হওয়ায় পরিবারের লোকজনের ভয়ে এবং লজ্জায় তারা যুক্তি করে একসঙ্গে বিষপান করেছে। দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ঠান্ডু বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন- মেয়ে তিনটি একটি ছেলের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেম করে আসছিল। আকস্মিকভাবে ছেলেটি উধাও হয়ে যায়। এ কারণেই এই তিন স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষপান করেছিল।

পাবনা সদর থানার ওসি মো. ওবায়েদুল হক বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তিন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। বিজ্ঞান ও অঙ্ক পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য তারা বিষপান করেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে। প্রেমসংক্রান্ত বিষয় কিছু জানায়নি। তাই সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com