শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক::
সুনামগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচনে শেষ মুহূর্তে আলোচনায় উঠে এসেছে পারিবারিক ইমেজ ও নিজস্ব ভোট ব্যাংক। নিজেদের ভোট সমুন্নত রাখার সঙ্গে সঙ্গে অন্য প্রার্থীদের ভোট ব্যাংকে আঘাত হানার সর্বশেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই তিন প্রার্থী হলেন- নাদের বখত, দেওয়ান গণিউল সালাদীন ও দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমন। এর মধ্যে নাদের বখত আ.লীগ, সাজাউর রাজা সুমন বিএনপি’র সমর্থনে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন দেওয়ান গণিউল সালাদীন। সালাদীন ও সুমন মরমি কবি হাছন রাজার প্রপৌত্র। তিন প্রার্থীর মধ্যে শক্তিশালী দুই প্রার্থীর নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে পৌর এলাকায়। তিন প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর পরিবারের সদস্যরা এর আগেও সুনামগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্বে ছিলেন। নাদের বখতের দুই ভাই মনোয়ার বখত নেক ও আয়ূব বখত জগলুল পৌরপিতার দায়িত্বে ছিলেন। গণমুখি এই দুই ভাই জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। মনোয়ার বখত নেক-এর মৃত্যুর পর বখত পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে আয়ূব বখত জগলুল পৌরসভায় নির্বাচন করেন। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জগলুল। আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন সুনামগঞ্জ পৌরসভার রূপকার বলা হয় তাঁকে। আয়ূব বখত জগলুলের আকস্মিক মৃত্যুর পর তাঁর ছোটভাই নাদের বখত নির্বাচন করছেন বখত পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে।
শহরে বখত পরিবারের রয়েছে শক্তিশালী ভোট ব্যাংক। শহরের আরপিননগর, জামতলা, নতুনপাড়া, বাঁধনপাড়া, মোক্তারপাড়া, কালিবাড়ি, রায়পাড়া, সোমপাড়া, পশ্চিমবাজার, হাছননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পারিবারিক ভোট ব্যাংক। এসব এলাকায় বখত পরিবারের সদস্যরা প্রতিবার নির্বাচনেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পান।
মরমি কবি হাছন রাজা পরিবারের দেওয়ান মমিনুল মউজদীন ছিলেন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। কবি হিসেবে পরিচিতি ছিল দেশব্যাপী। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পর হাছন পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত দেওয়ান গণিউল সালাদীন নির্বাচন করছেন। তাঁর পরিবারের অনেকই সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হাছন পরিবারেরও শক্তিশালী ভোট ব্যাংক রয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। তেঘরিয়া, নতুন কোর্ট, বড়পাড়া, মল্লিকপুর, ওয়েজখালি, জলিলপুর, হাছননগরসহ বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখ করার মত ভোট ব্যাংক রয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে দেখা গেছে মোট ভোটের অধিকাংশ এসব এলাকা থেকে এসেছে।
ষোলঘর এলাকায় মফিজুর রহমান বলেন, রাজনীতি অনেকটা মার খায় যখন দুই পরিবারের সদস্যরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। গত তিনটি নির্বাচনে আমরা দেখেছি দুই পরিবারের বাইরে কেউ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট পায়নি। এবার যে পরিবার থেকেই প্রার্থী নির্বাচিত হোক তিনি যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেন – এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
Leave a Reply