সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা, এ উপজেলায় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। উপজেলায় নেই কোনো সরকারি চিকিৎসালয়। নেই কোনো বেসরকারি হাসপাতালও, এতে দীর্ঘদিন ধরে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাওর বাওর অধ্যূষিত এ উপজেলার জনসাধারণ। উপজেলাবাসীর দুর্দশার কথা চিন্তা করে একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ করার চেষ্টায় সক্রিয় হন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এম.পি। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ৩ তলা ভবনের একটি হাসপাতাল নির্মাণ হচ্ছে। হাসপাতাল ভবনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এতে করে প্রায় ২ লক্ষাধিক জনসাধারনের বসতি দক্ষিণ সুনামগঞ্জবাসীর দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর উন্নত চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা হচ্ছে জেনে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান যখন ২০০৮ সালে জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ সংসদীয় এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ; তখন থেকে নিজ উপজেলাবাসীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ করতে একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। এ দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি প্রতিশ্রুতির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ করতে উঠে পরে যান এবং ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ৩ তলা একটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করার কার্যাদেশ নিশ্চিত করেন। কার্যাদেশের অনুমতিপত্র পেয়ে গত বছরের শুরুতে ৩ তলা বিশিষ্ট দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়। দ্রুত গতিতে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে – এ উপজলাবাসী পূর্বে উন্নত ও প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। কোনো ধরনের অসুস্থতা আক্রমণ করলে ভালো চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। যদি ভালো চিকিৎসা নিতে হয় যেতে হয় সুনামগঞ্জ সদর, জগন্নাথপুর ও ছাতক কৈতক হাসপাতালে। আর বড় ধরনের কিছু ঘটলে প্রয়োজনমত যেতে হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর যদি যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছানো না যায় ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। এর ফলে অকালে ঝরে যায় অনেক প্রাণ। শুধু তাই নয় উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের উল্লেখ যোগ্য লোকজনও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। তাঁরা সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ঔষধ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এখন আর এসব সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না তাদের। অকালে আর ঝরে যাবে না তরতাজা প্রাণ। এলাকাবাসী শুধু একটি দাবি দ্রুত যেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের কার্যক্রম নিয়ে কথা হয় প্রকৌশলী উজ্জ্বল আহমেদর সাথে তিনি বলেন, প্রতি মন্ত্রী এম.এ মান্নান মহোদয়ের নির্দেশনায় দ্রুত গতিতে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ। আমরা আশাবাদী যথাসময়ে ভবন নির্মানের কাজ শেষ করতে পারবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হলেই চিকিৎসার যাত্রা শুরু হবে। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত করার জন্য।
Leave a Reply