সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক::
মরমি সাধক হাসন রাজার প্রপৌত্র ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার তিনবারের পৌর চেয়ারম্যান প্রয়াত কবি মমিনুল মউজদীনের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি একজন স্বপ্ন ও সত্যদ্রষ্টা মানুষ ছিলেন। অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। এই আলোকিত মানুষটি জোছনা উপভোগ করার জন্য রাতে পৌর শহরের সড়ক বাতি নিভিয়ে দিতেন। এতে তাঁর সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মমিনুল মউজদীন স্মৃতি সংসদের আহবায়ক বিশিষ্ট আইনজীবী হোসেন তওফিক চৌধুরী।
বক্তারা আরও বলেন, একজন মানুষ যখন তাঁর সন্তানদের নাম বিপ্লবী ফিদেল কিংবা বিখ্যাত কবি কাহলিল জিবরানের নামে রাখেন তখন তাঁর ভিতরকার মানুষটির পরিচয় আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। তাঁর আদর্শ, তাঁর স্বপ্ন আমাদের সামনে পরিস্কার হয়ে যায়। কবিরা এমনই হন। তাঁরা সমাজকে আলোর পথে নিয়ে যান। তাঁদের ভাবনায় যেমন প্রেম থাকে, তেমনি থাকে সমাজ বদলের স্বপ্ন।
মমিনুল মউজদীন স্মৃতিবৃত্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের প্রবীণ শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন, হাসন রাজা ট্রাস্টের সভাপতি দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, কবি মমিনুল মউজদীন স্মৃতিবৃত্তির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আলী হায়দার, শিক্ষক এমদাদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বৃত্তি প্রাপ্ত ৫০জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, প্রাইজবন্ড, সনদপত্র প্রদান করা হয়।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ ফেরার পথে বাহ্মণবাড়িয়া জেলার সড়াইলে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মমিনুল মউজদীন, তাঁর স্ত্রী তাহেরা চৌধুরী, ছেলে কাহলিল জিবরান ও ব্যক্তিগত গাড়ি চালক কবির মিয়া মারা যান।
গতকাল সকালে প্রথমেই তাঁদের কবরে মমিনুল মউজদীন স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
Leave a Reply