মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সাব-রেজিষ্টার সুলতান ইউনুছ, কেরানি আব্দুর রহিম ও সহযোগীদের দুর্নীতির তদন্ত রোববার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ইফতেখার বিন মমিন দুর্নীতি তদন্ত সম্পন্ন করেন। তদন্ত কাজ সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা প্রর্যন্ত চলে। এ সময় জগন্নাথপুর সাব রেজিষ্টার অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত অভিযুক্ত সাব-রেজিষ্টার সুলতান ইউনুছ, কেরানি আব্দুর রহিম ও ভুক্তভুগি হাজী শাহজাহান মিয়া সহ অনেকের বক্তব্য গ্রহণ করেন। সাব-রেজিষ্টার ইউনুস গংদের মোঠা অংকের ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরে গত ৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ প্রকাশ পেলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। যুগান্তরের সংবাদ প্রকাশের পর সাব রেজিষ্টার সুলতান ইউনুছ কে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কেরানি আব্দুর রহিম সহ অভিযুক্ত দুই মহুরীর বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
ভুক্তভুগী হাজী শাহজাহান জানান, সাব রেজিষ্টার সুলতান ্ইউনুছ ও কেরানি আব্দুল রহিম ও অফিসের দুই মহুরী আমার বড় ভাই লন্ডন প্রবাসী শামীম আহমদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে আমাকে ছাড়াই আমার ভাইদের নামে আমাদের সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারা দলিল সম্পাদন করেন। এতে আমি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি।
উল্লেখ্য, জগন্নাথপুর থেকে সিলেটের তাজপুরে চলে যাওয়া সাব রেজিষ্টার সুলতান উইনুস ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে উপজেলার ইকড়ছই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী শামীম আহমেদ গংদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়, টাকা না দেওয়ায় এক দলিল গ্রহিতার দলিল ছিঁড়ে ফেলা সহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তর সহ জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকাগুলোতে রির্পোট প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
Leave a Reply