বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীরচর গ্রাম এখন পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসী পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রেফতার এড়াতে গ্রাম ছেড়ে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
শনিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ বাড়িতে নেই। মহিলারা জানান, পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে এই ভয়ে তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আশারকান্দি ইউনিয়নের মেম্বার কালনীরচর গ্রাম নিবাসী শওকত মিয়া শনিবার বলেন, গত শুক্রবার আসামী ধরাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে গ্রামের ৩৯জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা বহু লোককে আসামী করে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর গ্রামবাসী গ্রেফতার এড়াতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আশারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ঈমানি বলেন, আসামী ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় কয়েকজন পুলিশ আহত হলে মামলা হয়। শুনেছি মামলায় অনেক লোককে আসামী করা হলে গ্রেফতারের ভয়ে অনেক লোক গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পুলিশ যাতে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে শনিবার বিকেলে আলাপ হলে তিনি জগন্নাথপুর নিউজ ডটকমকে বলেন, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবেনা।
উল্লেখ্য থানার এসআই অনুজ কুমার দাসের নেতৃতে একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কালনীরচর গ্রামের মোটর সাইকেল পোড়ানোর মামলার আসামী কালনীরচর গ্রামের শবজুল কে গ্রেফতার করলে তার আত্মীয় স্বজনসহ গ্রামবাসী পুলিশের হাত থেকে আসামী ছিনিয়ে নেয়। এ সময় লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলায় ৫পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত এসআই আফছর উদ্দিন (৪০), এসআই অনুজ কুমার দাস (৪২), এসআই অনিক (৪৫), কনস্টেবল মিজানুর রহমান (৩৮), কনস্টেবল এমরান হোসেন (৩৯) কে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। লোহার রডে মাথায় গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত এসআই আফছর উদ্দিন কে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ কালনীরচর গ্রামের দুই মহিলা সহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো হেনা বেগম (৪০), লায়লা বেগম (৪২), লিটন মিয়া (৪০), নজরুল ইসলাম (৩৫), আনা মিয়া (৪৪), শাহআলম (২৮)।
এব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা লোকদের আসামী করে শুক্রবার জগন্নাথপুর থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply