বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পরিবহন শ্রমিক ও মৎস্য আড়ৎ এর লোকজনের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিস্পতি হয়েছে। ফলে পাল্টাপাল্টি কর্মসুচি প্রত্যাহার করে থানা থেকে অভিযোগ তোলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
শনিবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজুর সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর বাজার বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবদাল হোসেন ভূঁইয়া,বর্তমান সভাপতি আফছর উদ্দিন ভূঁইয়া, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিকুল হক, কাউন্সিলর আবাব মিয়া, সুহেল আহমদ, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হাজী আব্দুল জব্বার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফরোজ ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিজামুল করিম, জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সভাপতি গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
জগন্নাথপুর উপজেলা সড়ক পরিবহন মালিক- শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিজামুল করিম বলেন, দুই পক্ষের বিরোধ নিস্পতি হওয়ায় আমরা আমাদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।
জগন্নাথপুর বাজার বনিক সমিতির ও মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী আফছর উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টির নিস্পতি হওয়ায় অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর হবিবনগর এলাকায় পরিবহন শ্রমিক ও মাছের আড়ৎ এর লোকজনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এতে পৌর শহরের হবিবনগর এলাকার বাসিন্দা ট্রাক চালক রাসেল মিয়া আহত হন। এ ঘটনায় পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে জগন্নাথপুর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগটি মামলায় রেকর্ড করা না হলেও ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষনা দেয় পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এরই প্রেক্ষিতে মৎস্য আড়ৎ ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগটি প্রত্যাহার করা না হলেও বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্ছারণ করা হয়। দুই পক্ষের উত্তেজনা কমাতে জগন্নাথপুরের কয়েকজন কাউন্সিলর ও সরকার দলের রাজনীতিক নেতাদের মধ্যস্থতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করায় বিষয়টির নিষ্পতি হয়।
Leave a Reply