বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক দিনে ২টি হত্যা কা-ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনায় এখনো (শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত) থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে মামলা না হলেও মামলার আসামী হওয়ার আশঙ্কায় জড়িতদের মধ্যে অনেকে বাড়ি ছেড়ে আত্ম গোপনে চলে গেছেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছে। জানাযায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও-আলমপুর গ্রামের মজনু মিয়া ও একিই গ্রামের মমরাজ এবং ইজাজ মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে বন্দুকের গুলিতে মাদ্রাসার ছাত্র সাব্বির আহমদ (১২) নিহত হয়। সে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার কামারগাঁও-নগরকান্দি গ্রামের আবদুল কাইয়ূমের ছেলে। সাব্বির তার মামার বাড়ি আলমপুরে থেকে লেখাপড়া করতো।
এদিকে-একই দিনে মামুন হোসেন (২২) নামের এক অটোরিকশা সিএনজি চালককে কুপিয়ে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা। সে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার মধ্যে সমদ গ্রামের আবদুল মালিকের ছেলে। জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের পাশের একটি খাল থেকে শুক্রবার মামুনের লাশ উদ্ধার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। লাশের মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশটি এখানে ফেলে গেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন ধারনা করছেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ নিহত সাব্বির ও মামুনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে এখনও হত্যাকান্ডে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে শনিবার জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, এ দুইটি হত্যা কা ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে নিহতের আত্মীয়রা বলেছেন লাশ দাফনের পর তারা মামলা করবেন। তবে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
Leave a Reply