শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ জগন্নাথপুর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পৌরসভার ইকড়ছই গ্রাম নিবাসী মরহুম হারুনুর রশিদ হিরণ মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ৯০ দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা যুক্তরাজ্যের লির্ডস আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রশিদ ভূঁইয়া (৩৮) সোমবার সন্ধায় সিলেটের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যু কালে মা, ভাই বোন, স্ত্রী, দুই ছেলে দুই মেয়ে সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুন গ্রাহী রেখে যান। মঙ্গলবার নামাজে জানাজা শেষে তাঁর বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।
আজ সকাল ১১ টায় ইকড়ছই সিনিয়র হাফিজিয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সাবেক এই ছাত্রনেতার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।জানাাযার নামাজে ইমামতি করেন ইকড়ছই জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম। এতে শোকাহত মানুষের ঢল নামে। জানাজা শেষে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মরহুমের রহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল করিম ফারুকী। জানাযার পূর্বে মরহুমের বড় ভাই সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মিজানুর রশীদ ভূইয়া, চাচাতো ভাই পৌর আওয়া মীলীগের সেক্রেটারী ইকবাল হেসেন ভূইয়া বক্তব্য রাখেন। পরে মাদ্রাসার নিকটবর্তী পঞ্চায়িতী কবরস্থানে তাঁর বাবা মরহুম হারুনুর রশিদ হিরণ মিয়ার পাশে তাকে দাফন করা হয়।
গতকাল সোমবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাত টার দিকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বজলুর রশীদ ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। তিনি মাসখানেক ধরে লিভার জনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী, সন্তান যুক্তরাজ্যে বসবাসরত রয়েছে।
এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মরহুমের মরদেহ এম্বুলেন্স যোগে তাঁর জন্মভিটায় এসে পৌঁছিলে সেখানে এক হৃদয়বিদায়ক দৃশ্যের অবতারণ ঘটে। এলাকার শত শত নারী পুরুষ শেষবারের মতো তাকে দেখতে বাড়িতে ছুটে যান। তাঁর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
সাবেক ছাত্র নেতা বজলুর রশিদ ভুঁইয়ার বড় ভাই জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া জানান, আমার ছোট ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ। অনাকাংখিত এই মৃত্যুের শোক বহন বড়ই কষ্টকর. বেদনাদায়ক। ছোট ভাইয়ের চলার পথে ভুলভ্রাল্তি হতে পারে। এজন্যে তিনি ক্ষমা চেয়ে ভাইয়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
বজলুর রশিদ ভুঁইয়ার স্বজনরা জানান, আওয়ামী লীগের পরিবারের জন্ম নেয়া বজলুর রশীদ স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। জগন্নাথপুর কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ৯০ দশকে এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসৈনিক হিসেবে রাজপথের একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। বিবাহ জীবনে আবদ্ধ হওয়ার পর তিনি যুক্তরাজ্য পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তিনি লির্ডস আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি বজলুর রশীদ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ৯০ দশকে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। একজন কৃতি গোলকিপার হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। অনুরূপভাবে রয়েছে সাংস্কৃতিক জগতেও। তৎকালিন সময়ের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন পারাবত নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে কাজ করেছেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ,উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply