শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কেউ মব করতে চাইলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুনামগঞ্জে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে গ্রেপ্তার, কারাগারে অসুস্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু প্রবাসী পরিবারের রোষানলে পড়ে এক বছর ধরে বাড়ি ছাড়া জগন্নাথপুরের টমটম চালক আহমদ আলী ৩৬ টাকায় বোরো ধান, ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল ফিলিস্তিনে নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে সুবিপ্রবিতে র‍্যালী ও বিক্ষোভ সমাবেশ  জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওর পরিদর্শনে  জেলা প্রশাসক,ধান পেকে গেলে দ্রুত কাটার তাগিদ ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায়  গণহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ  গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ  গাজায় গনহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির প্রথম সভা

ন্যায় ও সত্যের পথে অবিচল থাকাই কারবালার শিক্ষা

ন্যায় ও সত্যের পথে অবিচল থাকাই কারবালার শিক্ষা

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্কঃ   হিজরি বর্ষপঞ্জির পহেলা মাস মহররম একটি তাৎপর্যমণ্ডিত এবং বরকতময় মাস। মুসলিম ইতিহাসে এ মাসটি বিভিন্ন কারণে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।

আসমান-জমিন সৃষ্টিসহ পৃথিবীতে অনেক স্মরণীয় ও যুগান্তকারী ঘটনা এ মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশুরার দিন সংঘটিত হয়েছিল।

মহান আল্লাহতায়ালা হিজরি সনের যে চারটি মাসকে সম্মানিত করেছেন তা হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও সফর।

এ চারটি মাসের মধ্যে মহররম অন্যতম ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় মাস। মহান আল্লাহপাক এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে গণনা হিসেবের মাস হলো বারোটি। (মহররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস সানী, জমাদিউল আউয়াল, জমাদিউস সানী, রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল, জিলকদ এবং জিলহজ) যেদিন থেকে তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন এর মধ্যে চারটি মাস বিশেষ সম্মানিত। (সূরা তাওবাহ : ৩৬)

বারো মাস হলো মহররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস সানি, জমাদিউল আউয়াল, জমাদিউস সানি, রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল, জুলকদ ও জিলহজ। আর হারাম বা সম্মানিত চারটি মাস হলো মহররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ। (তাফসিরে বাগাভি ৪র্থ খ-, পৃষ্ঠা নং :৪৪)

পবিত্র কোরআনের সূরা তাওবার ছয়ত্রিশ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘চারটি মাস রয়েছে যেগুলো সম্মানিত মাস। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো মহররম’।

এ আয়াতের চারটি সম্মানিত মাসকে চিহ্নিত করতে গিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের সময় মিনা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে বলেন, তিনটি মাস হলো জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং অপরটি হলো রজব। (তাফসিরে ইবনে কাসির)।

মানবজাতির পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই নানা ঘটনাপ্রবাহের ঐতিহ্য বহন করছে পবিত্র মহররম মাস। বিশেষ করে ঐতিহাসিক কারবালার রক্তঝরা ঘটনার প্রেক্ষিতে মহরম মাস আরও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।

১০ মহররম ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে শাহাদতের অমিয় সুধা পান করেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত হোসাইন (রা.)।

কারবালার সূত্রপাত: ইসলামের ইতিহাসে কারবালার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী।
৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর মোতাবেক ৬১ হিজরির ১০ মহররম ফুরাত নদীর তীরে ইরাকের তৎকালীন রাজধানী কুফার ২৫ মাইল উত্তরে কারবালার মরুপ্রান্তরে ঐতিহাসিক ‘কারবালা’ সংঘটিত হয়েছিল।

ওইদিন কারবালা প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) নরপিশাচ সিমারের হাতে শাহাদাতবরণ করেন।

সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় হজরত হোসাইন (রা.) অল্পসংখ্যক সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে জালিম শাসক ইয়াজিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন কারবালা প্রান্তরে।

সেদিন মরুভূমির উত্তপ্ত বালুকারাশি রক্তে রক্তাক্ত হয়েছিল। জালিম শাসক ইয়াজিদ চেয়েছিল মুসলিমজাহানের ক্ষমতা হিসেবে হজরত হোসাইনের (রা.) পক্ষ থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নিতে।

যদি হোসাইন (রা.) ইয়াজিদকে মুসলিমজাহানের খলিফা হিসেবে মেনে নিতেন এবং তার কাছে মাথানত করতেন তাহলে সেই কারবালা আর হতো না।

কিন্তু হোসাইন (রা.) সেই ইয়াজিদকে খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি দেননি এবং তার কাছে মাথা নত তথা আপস করেননি।

সৌজন্যে যুগান্তর

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com