বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সভার মেয়র পদে উপ নির্বাচন হঠাৎ করে ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বেকায়দায় পড়েছেন।অন্যদিকে ভোটারদের মধ্যে ও তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচন ঘোষণার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে সরাসরি এখনো যেতে পারেননি। মাত্র ২ মাসের জন্য এ নির্বাচন আয়োজন করায় নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী -সমর্থক ও ভোটারদের আগ্রহও তেমন একটা নেই।তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়েও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটাররা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালে জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আবদুল মনাফ মেয়র নির্বাচিত হন। চলতি বছর ২০২০ ইং ১১ জানুয়ারী মেয়র আবদুল মনাফ মৃত্যু বরণ করলে ফেরুয়ারি মাসে জগন্নাথপুর পৌরসভার উপ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করে ২৯ মার্চ ভোটগ্রহনের দিন ধার্য্য হয়। তফসিল অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন পত্র দাখিল ৮ মার্চ প্রত্যাহারের দিন ধার্য করা হলে চারজন প্রার্থী সর্বশেষ ভোটযুদ্ধে প্রচারণায় নামেন। প্রার্থীরা হলেন পৌর সভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম হারুনুর রশীদ হিরন মিয়ার পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া (নৌকা) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহমেদ (ধানের শীষ) আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র মরহুম আব্দুল মনাফের পুত্র আবুল হোসেন সেলিম (জগ) ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবিবুল বারী আয়হান(মোবাইল ফোন)প্রার্থীগন প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে প্রচারণায় নামেন। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হলেও ২১ মার্চ মহামারী করেনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে নির্বাচন কমিশন পৌরসভার মেয়র পদে উপ নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেন। নির্বাচন স্থগিত হলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহমেদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রয়াত মেয়র পুত্র আবুল হোসেন সেলিম লন্ডনে চলে যান। আর বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবিবুল বারী আয়হান চলে যান ঢাকায়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া এলাকায় থাকলেও তিনি গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ রয়েছেন বলে তার স্বজনরা জানান। উপনির্বাচন ঘোষণার পর পৌর আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহমদ এখনো দেশে ফিরতে পারেন নি। সমর্থকরা জানিয়েছেন তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল হোসেন সেলিম লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেও পারিবারিক নানা ব্যস্ততায় সিলেট শহরে রয়েছেন। তিনি এখনো ভোটারদের কাছে আসতে পারেন নি। একইভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবিবুল বারী আয়হান ঢাকা থেকে জগন্নাথপুর এসে এখনো প্রচারণায় নামেননি। তবে সহসাই মাঠে নামবেন বলে সমর্থকরা জানান। ২৩ শে সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের ওয়েব পেইজে আগামী ১০ই অক্টোবর এ পৌরসভার নির্বাচন ঘোষনা করায় প্রার্থী-সমর্থক ও ভোটাররা হিসেব কষতে শুরু করেছেন। তবে স্বল্প সময় অর্থাৎ ২ মাসের জন্য এ নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থী সমর্থক ও ভোটার দের মধ্যে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।অন্যদিকে করোনাভাইরাস আতংক ও রয়েছে মানুষের মধ্যে। এমনিতেই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। নির্বাচনে জনসমাগমে পরিস্হিতি কি দাড়াঁবে সেটাও বড় প্রশ্ন।
শনিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুজিবুর রহমানের সাথে আলাপে হলে তিনি যুগান্তর কে বলেন, আগামী ১০ই অক্টোবর এ পৌরসভার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত চিটি পেয়েছি।
প্রসংগত এ বছরের ডিসেম্বর মাসে পৌরসভা নির্বাচনের ৫বছর পূর্ন মেয়াদ শেষে আবার ও নির্বাচনে যেতে হবে।
Leave a Reply