শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি ভোটাররা একটি সুস্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন— কয়ছর আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন: কয়ছর এম আহমদ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে — কয়ছর এম আহমেদ শিগগিরই সরাসরি দেখা হবে: তারেক রহমান হারুন-বিপ্লবের সাত পদক বাতিল “রক্তের আখরে লেখা জুলাই বিজয় “ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও শহীদদের স্মরণে জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল জগন্নাথপুরে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংগঠনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত জগন্নাথপুরে জামাতের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন

ইসলামে স্বাধীনতা ও নাগরিক দায়বোধ

ইসলামে স্বাধীনতা ও নাগরিক দায়বোধ

ইসলাম মতে মানুষের জন্মগত অধিকার হচ্ছে স্বাধীনতা ভোগের অধিকার
ইসলাম মতে মানুষের জন্মগত অধিকার হচ্ছে স্বাধীনতা ভোগের অধিকার

মাহফুজ আবেদ  : ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে তুমি মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছো, অথচ তার মা তাকে স্বাধীন মানুষরূপেই জন্ম দিয়েছেন।’

বস্তুত আল্লাহতায়ালা মানুষকে স্বাধীন করে সৃষ্টি করেছেন এবং এই স্বাধীনতা নিয়েই মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং তার জন্মগত অধিকার হচ্ছে কেউ তাকে তার এই স্বাধীনতা ভোগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না এবং জোর-জবরদস্তি তাকে দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি করবে না।

ইসলাম যখন স্বাধীনতাকে তার মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করে, তখন সময়টি ছিল এমন যে; অধিকাংশ মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিকভাবে আক্ষরিক অর্থেই ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছিল।

মানুষের এই বহুরূপ দাসত্ব-শৃঙ্খলের বিরুদ্ধে ইসলাম স্বাধীনতা ঘোষণা করল। বিশ্বাসের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা এবং সমালোচনার স্বাধীনতা সব ক্ষেত্রেই ইসলাম এই স্বাধীনতা দিয়েছে। আর চিরকাল ধরে এসব বিষয়েই মানুষ তাদের স্বাধীনতা প্রত্যাশা করে আসছে।

ইসলাম স্বয়ং একটি ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্ম বা বিশেষ কোনো ধর্মগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দমননীতি অনুমোদন করে না। কোরআনে কারিমে আমরা এই বিস্ময়কর প্রকাশ দেখতে পাই। যেখানে ইরশাদ হয়েছে, ‘ধর্মের ক্ষেত্রে জবরদস্তি নেই। মিথ্যা থেকে সত্যকে যথার্থভাবেই পৃথক করে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ -সূরা আল বাকারা: ২৫৬

এই আয়াতের তাৎপর্য এখানে যে, ইসলাম স্বাধীনতাকে কতটা পবিত্র করেছে এবং একে কতটা মর্যাদা দিয়েছে তা এ আয়াতে দীপ্যমান হয়ে উঠেছে।

দ্বিতীয় স্বাধীনতা হচ্ছে চিন্তা ও গবেষণার স্বাধীনতা। ইসলাম তার অভ্যুদয়কাল থেকেই সমগ্র বিশ্বজগত সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কোরআনে কারিমের একাধিক আয়াতে এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে। ওইসব আয়াতে অলিক কল্পনা, বদ্ধমূল ধারণা ও আন্দাজ-অনুমানের অনুসরণকে নিন্দা করা হয়েছে। যারা নিজেদের মনগড়া ধারণা কিংবা পূর্ব-পুরুষ ও কর্তাব্যক্তিদের অন্ধ অনুসরণ করে তাদেরকে তিরস্কার করা হয়েছে। ইসলামের অবস্থান হচ্ছে, সব সময় মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদ ও গভীর চিন্তা-ভাবনার পক্ষে। ইসলাম সর্বদা অন্ধবিশ্বাসের পরিবর্তে যুক্তিবাদকে প্রাধান্য দেয়।

ইসলাম তার ধর্ম-বিশ্বাসের সত্যতা প্রমাণের জন্য সব সময় বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমাণ উপস্থাপন করে থাকে। এ কারণে মুসলিম মনীষীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন,

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com