রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ. ডেস্ক:
নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক তিনটি ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সকালে রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চারারবাগ এলাকায় বাসচাপায় মোটরসাইকেলের চার আরোহী, দুপুরে বাগহাটায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ও দুপুরে মাধবদীতে বাসের ধাক্কায় চালকসহ তিন রিকশা আরোহী নিহত হয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভৈরব থেকে ঢাকাগামী অনন্যা সুপার পরিবহনের বাস রায়পুরার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চারারবাগ এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা শিবপুরের ঘোড়ারগাঁও এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে ইয়ামীন (২৪), রায়পুরার মরজাল পশ্চিমপাড়ার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে ডালিম (১৬), একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৭) ও আসাদ মিয়ার ছেলে রমজান (১৬) মারা যান। তারা সবাই শ্রমিক। এ সময় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক পথচারী গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চারজনের লাশ উদ্ধার করে ভৈরব হাইওয়ে থানায় নেয়া হয়। এদিকে শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, মাধবদীর বিরামপুর এলাকার রতন মিয়া (৪৪), আমদিয়া এলাকার অজ্ঞাত (৩৪) ও ময়মনসিংহ জেলার মকবুল হোসেন (৪২)। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াছ জানায়, ঢাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে একটি রিকশা ও পথচারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রিকশার যাত্রী রতন মিয়া (৪৪) ও চালক অজ্ঞাত (৩৪) মারা যান। এ সময় পথচারী ময়মনসিংহ জেলার মকবুল হোসেন (৪২) আহত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী বাগহাটা মসজিদের সামনে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকার বাগহাটা মসজিদের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৪০) ও তার স্ত্রী মানছুরা বেগম (৩৫) ছিটকে পড়ে যান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজনই মারা যায়। এলাকাবাসী প্রাইভেটকারটি আটক করেছে। তবে চালক পলাতক। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি একেএম. কাউছার জানান, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ভৈরব হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে।
Leave a Reply