রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। এবার পশুর হাটে দেশী গরুর সংখ্যা বেশী হওয়ায় দাম একটু বেশী বলে ক্রেতা বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারের পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা দেশী গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। ক্রেতারা তাদের পছন্দের গরু ক্রয় করতে ঘুরে ঘুরে বাজার দেখছেন। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে ক্রেতাদের ভীর বাড়ছে হাটে। ক্রেতারা পছন্দ অনুযায়ী গরু নিয়ে মনের আনন্দে বাড়ী ফিরছেন। বেচাবিক্রির যেন ধুম পড়েছে।
কোরবানির পশুরহাটে আসা মুজিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, এবারের ঈদে দেশী গরু প্রচুর এসেছে। বিদেশী গরু নেই। ছোট ও মাঝাড়ি আকারের গরুর দাম অন্য বছরের তুলনায় একটু বেশী। আরেক ক্রেতা জিতু মিয়া বলেন, অন্যান্য হাটের চেয়ে এ বছর কোরবানি গরু কম এসেছে। সকাল থেকে ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে একটি দেশী জাতের গরু ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি।
কিশোরগঞ্জ থেকে গরু নিয়ে আসা জাকির হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিবছরেই জগন্নাথপুরসহ সিলেটের বিভিন্ন কোরবানির ঈদের হাটে আমরা দেশী গরু বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসি। এবার ৪০টি গরু নিয়ে এসেছি। বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০টি। আশা করছি ঈদের আগেই সবগুলো গরু বিক্রি করে ফেলব। আরেক বিক্রেতা তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, এবার বাজারে বিদেশী জাতের কোন গরু নেই। দেশী ২৫টি গরু হাটে এনেছি। জমে উঠছে বেচাকেনা। শেষ মুর্হুতে বেচাকেনা ভাল হবে বলে আশা করছি।
এদিকে জগন্নাথপুর পৌর শহরে স্থায়ী কোন গরুর হাট না থাকায় ক্রেতা সাধারণ বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার রসুলগঞ্জ ও রানীগঞ্জ বাজারে গিয়ে অনেকেই গরু ক্রয় করছেন। তবে অস্থায়ীভাবে পৌর শহরে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রিতারা। এলাকাবাসী পৌরশহরে স্থায়ীভাবে একটি গরুর হাট বসানোর জন্য সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply